মার্কেট ও শপিংমলে যেতে লাগবে মুভমেন্ট পাস!

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনি;ষেধের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে ‌শর্তসাপেক্ষে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।

তবে লকডাউন সময়ে মার্কেটে যেতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের লাগবে মুভমেন্ট পাস। মুভমেন্ট পাস নিয়েই শপিংমলে যেতে হবে, পুলিশ সদরদফতর থেকে এখন পর্যন্ত এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে। অবশ্য শপিংমল খোলার বিষয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

পুলিশ সদর দফতরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, লকডাউন চলাকালে যারা ঘরের বাইরে বের হবেন, তাদের সবার মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত শপিং ও কেনাকাটার জন্য যারা বের হবেন তাদের বিষয়েও একই নির্দেশনা রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুভমেন্ট পাসের বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এ বিষয়ে আরও কোনও তথ্য থাকলে পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, করোনার সংক্র;মণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে দুই দফা সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে সর্বাত্মক লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আরোপ করা হয়। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষজনের চলাচলের প্রতি কঠোর বিধিনি;ষেধ আরোপ করা হয়।

চলমান লকডাউনের কারণে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকার দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। আমরা মনে করি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিভাবক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্য আমরা কখনো ওনার কাছে আবেদন করে খালি হাতে ফেরত আসিনি।

ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই সং;ক;টাপ;ন্ন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চোখে মুখে শুধু বালুচর। আমাদের সব ইনভেস্টমেন্ট এখন নষ্ট হওয়ার পথে। সেই ক্ষেত্রে আমরা আশা করতেছি আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটা সুসংবাদ পাব, যাতে আমরা সোমবার দোকাপাট খুলতে পারি।

দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করবে বলে মনে করছেন হেলাল উদ্দিন।