ভাবির সর্বনাশ করেই ক্ষান্ত হননি দেবর, এতিম করলেন ভাতিজাকে

প্রায় তিন বছর আগে তানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন সৌদি প্রবাসী শাহ আলম। কিন্তু সুন্দরী ভাবির প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে দেবর জানে আলমের।

সম্প্রতি তানিয়ার ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি করেন দেবর। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি, হত্যার উদ্দেশ্যে ভাবির মুখে ঢালা হয় বিষ। মা হারিয়ে এতিম হলো তানিয়ার অবুঝ শিশু।

২২ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামে। বিষয়টি জানাজানির পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

নিহত তানিয়া বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে। অভিযুক্ত জানে আলম ফদ্রখলা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম আলম চৌধুরী ও বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

করোনার আগে দেশে ফেরার পর আর সৌদি যেতে পারেননি জানে আলম। এরই মধ্যে তানিয়াকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালেও কোনো সমাধান পাননি তানিয়া। এরপর বিষয়টি জানে আলমের স্ত্রীকেও জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন জানে আলম।

প্রতিশোধ নিতে ২২ নভেম্বর রাতে দরজা ভেঙে তানিয়ার ঘরে ঢুকে ধ’র্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে দেন তিনি। পরে স্থানীয়রা তানিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরদিন সকালে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত তানিয়ার মামা আব্দুর রহিম বলেন, তানিয়াকে ধ’র্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করে জানে আলম। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

হবিগঞ্জের সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম আলম চৌধুরী বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে ধ’র্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে- মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।