ফরিদপুরে লকডাউনে লা”ঠিপে”টা করায় থানা-উপজেলা কার্যালয়ে হা”ম’লা চালালো এলাকাবাসী

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় লকডাউন চলাকালে এসিল্যান্ডের এক সহকারীর লা’’ঠিপে’টাকে কেন্দ্র করে থা’না ও উপজেলা কার্যালয়ে হা’’ম’লা ও আ’’গু’ন ধ’রি’য়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হা’’ম’লা কা’রীরা থানা ও উপজেলার ভেতর তা’ণ্ড’ব চা’লা’চ্ছে।

জানা যায়, সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে মো. জাকির হোসেন বাড়ি ফি’রছি’লেন। এ সময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে আসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হি’রাম’নি উপস্থিত হন।

জাকির হোসেনের অভি’যোগ, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসিল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাঁর কো’ম’রে লা’’ঠি দিয়ে আ’’ঘা’ত করেন। এতে তাঁর কো’মরে ভে’’ঙে যায়। পরে আ’হ’ত জাকির হোসেনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, জাকির হোসেনকে আ’হ’ত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উ’ত্তে’জি’ত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও গ্রামবাসী জ’ড়ো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেখানে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপস্থিত হয়। উ’ত্তে’জি’ত জনতা পুলিশের ওপরেও হা’’ম’লা চা’লায়।

এতে এসআই মিজানুর রহমানের মা’থা ফে’’টে যায়। পরে সেখান থেকে তারা চলে গেলে দো’কানদার ও এলা’কাবাসী জ’ড়ো হয়ে থা’না ও উপজেলায় হা’’ম’লায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থা’না ও উপজেলা গে’টে আ’’গু’ন লা’গি’য়ে থা’না ও উপজেলার ভেতর প্রবেশ করে হা’’ম’লা চা’লাচ্ছে।

এ হা’’ম’লায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবন, এসিল্যান্ডের বাসভবনসহ থা’নায় হা’’ম’লা ও আ’’গু’ন ধ’রি’য়ে দেওয়া হয়েছে।

একটি লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, হা’’ম’লাকারীরা উপজেলার ভেতর থেকে বস্তায় করে বিভিন্ন মা’লামা’ল লু’ট’পা’ট করে নিয়ে যাচ্ছে।

সালথা থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, ‘এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হি’রাম’নির কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পু’লিশের ওপরে হা’’ম’লা হয়। উ’ত্তে’জি’ত জনতাকে শান্ত থাকতে অ’নু’রো’ধ জানানো হলেও তা তারা মা’নেনি।’

এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে গু’’লি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চে’ষ্টা চা’লিয়ে যা’চ্ছে। এছাড়া পাশের থা’না ও জেলা থেকে অ’তি’রিক্ত পুলিশ ও র্যাত’ব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চা’লা’চ্ছে।