স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর, গাড়িতে করে খাবার বিক্রি করে প্রতিদিন ১০০০০ টাকা আয় করেন শিল্পা

জীবন কখন কাকে কোন পর্যায়ে দাঁড় করিয়ে দেবে তা কেউ জানে না। তাই আমা’দের উচিত নির্বি’ঘ্ন ে প্রতিটি প’রিস্থিতির বিরু’দ্ধে লড়াই করার জন্য নিজেকে প্র’স্তুত করা।

তারপরে আপনাকে আর ফি’রে তাকাতে হবে না। শিল্পাকে যখন তার স্বামী মিথ্যে কথা বলে চিরকালের জন্য তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন তার জীবন পাল্টে যায়। তখন সে বুঝতে পারে না যে তার কি করা উচিত আর কি নয়।

তবে আজ এই শিল্পা প’রিস্থিতির সাথে লড়াই করে এবং একটি খাবারের দোকান চালিয়ে একজন সফল মহিলা উদ্যোক্তা এ প’রিণত হয়েছে। চলুন জে’নে নেওয়া যাক তার যাত্রাটি কেমন ছিল।

আজকাল শিল্পার এই গল্পটি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হচ্ছে এবং এটি ভাইরাল হওয়ার পেছনে আরও একটি কারণ হলো মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানির মালিক আনন্দ মাহিন্দ্রা শিল্পার গল্পটি টুইট ক’রেছেন।

মিডিয়ার সাথে কথোপকথনের সময় শিল্পা নিজে’র স’স্পর্কে বলেছিলেন যে যদিও তিনি ছোট থেকেই রান্নার প্রতি আগ্রহী ছিলেন তবে ভবি’ষ্যতে এটি তার ব্যবসা হয়ে উঠবে তা তিনি কখনও ভাবেননি এবং এমন একটি ঘ’টনা ঘ’টেছিল যার কারণে তিনি একটি খাবারের দোকান পেয়েছিলেন। এই খাবারের দোকান টি নিজে’র থেকে নয় বরং বাধ্যতামূলকভাবে শুরু ক’রতে হয়েছিল তাকে।

তিনি বলেছিলেন যে তিনি নিজে’র ইচ্ছায় এই খাবারের ব্যবসায় আসেননি। তবে আজকের সময় শিল্পা তার খাবারের দোকানের কারণে ম্যাঙ্গালোরে খ্যাতি অর্জন করছে। শিল্পা তার লড়াই প্র’কাশ করার সময় খুব আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে আবার কখনও কখনও আ’ত্মবিশ্বা’সের হাসি তার মুখে আসে কখনো কখনো আবার সে একেবারে চুপ হয়ে যায়।

2005 সালে যখন শিল্পা বিয়ের পর তার স্বামীর সাথে ম্যাঙ্গালোরে থাকতেন তখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তবে 2008 সালে একদিন শিল্পার স্বামী বললেন যে ব্যবসার লোন এর কারণে তাকে কিছুদিনের জন্য ব্যাঙ্গালুরুতে যেতে হবে। এখান থেকেই শিল্পার জীবনে একটি ইউ টার্ন আসে যখন তার স্বামী আর ফি’রে আসে না। তার স্বামী যখন তাদের ছেড়ে চলে গে’লেন তখন শিল্পার সাথে তার একটি তিন বছরের ছেলেও ছিল।

তার স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে শিল্পের ওপর এই সমস্ত দায় পরল। তারপরে শিল্পা খানিক বাধ্য হয়েই একটি ফুড ট্রাক ব্যবসা শুরু করার ধারণা নেয় কিন্তু তখন সে এই ব্যবসাটি চালাবে কিনা বুঝতে পারেনি। শিল্পা জানিয়েছিল যে তার স্বামী যখন তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন শিল্পার ব্যাংক একাউন্টে ছিল মাত্র 1 লাখ টাকা যা শিল্প অল্প অল্প করে সংগ্রহ করেছিল।

শিল্পা আরো বলেছিলেন যে এই টাকা ছাড়া তার কাছে আর কিছুই ছিলনা সে এই টাকার বিনিময় কোন দোকান কিনতে পারতো না বা কিছুদিন দোকান ভাড়া নিয়ে চালাতে পারতো না। তার বাড়ি ঠিক সামনে মাহিন্দ্রা শোরুম ছিল হ’ঠাৎ একদিন সে ভাবল সে অর্থের বিনিময়ে একটি ট্রাক কেন কিনে নিচ্ছেন না এবং সে ট্রাকের মধ্যেই সে তার খাবারের ব্যবসা করবেন।

লোকেরা তাকে সেকেন্ড হ্যান্ড ট্রাক কেনার পরামর’্শ দিল কিন্তু শিল্পা তাদের কথায় কান না দিয়ে নতুন ট্রাক কিনতে শো রুমে গে’লেন। সেখানে পৌঁছে তিনি জানতে পেরেছিলেন যে এই ট্রাকটি কিনতে 1 লাখ 18 হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট ক’রতে হবে এছাড়াও যদি তিনি আবার ব্যবসা করেন তার জন্য আ’লাদা খরচ কিন্তু শিল্পার কাছে মাত্র 1 লাখ টাকায় ছিল।

তিনি তার সন্তানের জন্য সেই এক লাখ টাকা রেখেছিলেন যাতে ভবি’ষ্যতে তার সন্তান কোন স’মস্যায় না পড়ে। কিন্তু তবুও তিনি সরকারের মহিলা রোজগার উদ্যো’গ যোজনার আওতায় ঋণ নিয়েছিলেন এবং বাকি সোনার অলংকার বিক্রি করে ট্রাক কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন এবং এই ভাবেই শিল্পা তার খাবারের ট্রাকে রান্না শুরু করে এবং ধীরে ধীরে লোকেরা তাদের স’স্পর্কে জানতে পারে।

যখন মাহিন্দ্রার মালিক আনন্দ মাহিন্দ্রা শিল্পার এই ঘ’টনাটি জানতে পারেন তিনি খুব আনন্দিত হয় এবং তাকে সহায়তার আশ্বা’স দেন। আনন্দ মাহিন্দ্রার পোষ্টের পর থেকে তার গ্রাহকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমা’দের শিল্পার এই কা’হিনী থেকে অবশ্যই অনুপ্রা’ণিত হওয়া উচিত। কিভাবে খা’রাপ সময়ে গু’টিয়ে না গিয়ে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হয় তার বাস্তব এবং স’বচেয়ে ভালো উদাহরণ শিল্পা ছাড়া আর কেউই ‘হতে পারে না।