করো’না র আগে স্কুলে যাওয়া জেসমিন এখন জুবায়েদ! এলাকায় চা’ঞ্চ’লের সৃষ্টি

বগুড়ায় মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিবর্তন হওয়ায় এলাকায় চা’ঞ্চ’লের সৃষ্টি হয়েছে। দশম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আকতার নারী থেকে পূর্ণা’ঙ্গ পুরুষে রূ’পান্ত’রিত হয়েছেন। এখন তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ ম’ণ্ডল (২০)। এতে জুবায়েদ নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা খুব খুশি। বাবা-মায়ের ইচ্ছা তাকে মাদ্রাসায় পড়িয়ে বড় আলেম হিসেবে গড়ে তুলবেন।

স’ম্প্রতি বগুড়ার আদমদিঘী উপজে’লার শাওইল গ্রামের এ ঘ’টনাটি প্র’চার হওয়ার পর থেকে গত তিনদিন ধ’রে কৌতূহলী জনতা বাড়িতে ভিড় করছেন।

খোঁজ নিয়ে জা’না গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজে’লার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন মণ্ডল ও মরিয়ম বিবি দ’ম্প’তির এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। মেয়ে জেসমিন আকতার ও ছেলে মিজানুর রহমান মিজান।

২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল জ’ন্মগ্রহণের পর জেসমিন শাওইল গ্রামে নানা মোবারক আলীর বাড়িতে থাকত। সেখান থেকে বাবা-মা ও ভাইকে দে’খতে লক্ষ্মীপুরে যাতায়াত ক’রতেন। জেসমিন স্থা’নীয় শাওইল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে প’ড়ে।

পরিবারের সদস্যরা জা’নান, চার মাস আগে হ’ঠাৎ জেসমিন আকতারের কণ্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। কণ্ঠস্বর, চলাফেরা ও আ’চার-আচ’রণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। প্রায় ৪৫ দিন আগে তার শা’রীরিক গঠন পরিবর্তিত হয়ে ছেলেদের মতো হয়ে যায়।

জেসমিন বিষয়টি তার নানা মোবারক আলীকে জা’নায়। এরপর তাকে ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালের চিকি’ৎসক সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের কাছে নেওয়া হয়। চিকি’ৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা জানতে পারেন, শ’রীরে অতি’রিক্ত পুরুষ হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

চিকি’ৎসক বিষয়টি নানা মোবারক আলীকে জা’নিয়ে বলেন, হর’মোনের কারণে ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে লি’ঙ্গা’ন্ত’র হয়ে থাকে।

বাড়িতে এনে জেসমিন আকতারের নাম পরিবর্তন করে জুবায়েদ মণ্ডল রাখা হয়। চুল ছোট করে কে’টে ছেলেদের মতো পোশাক দেওয়া হয়। এ ঘ’টনায় দ’রি’দ্র পরিবারের মাঝে আনন্দের জো’য়ার বইতে থাকে। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীরা তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নসরৎপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুল হক খন্দকার মঙ্গলবার (৩০ মা’র্চ) সন্ধ্যায় সময় সংবাদকে জা’নান, লক্ষ্মীপুর গ্রামে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার খবরটি তিনি শুনেছেন। ঘ’টনা সত্য। দুই তিনদিন আগের ঘ’টনা হওয়ায় এখন পর্যন্ত কেউ তার জ’ন্ম নিব’ন্ধন সনদ ঠিক ক’রতে আসেনি বলেও জা’নান ইউপি চেয়ারম্যান।

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হওয়া জুবায়েদ মণ্ডল জা’নায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি সে নিয়মিত নামাজ আদায় করতো। কিছুদিন আগে জ্ব’র আসার পর শ’রীরের পরিবর্তন শুরু হয়। এতে সে বুঝতে পারে পু’রুষে রূপান্তরিত হচ্ছে। তার এ পরিবর্তনে সে খুব খুশি। এ জন্য সে মহান আল্লাহর দরবারে শুক’রিয়া জা’নায়।

তার বাবা জালাল হোসেন মণ্ডল জা’নান, মেয়ে জেসমিন ছেলেতে রূপান্তর হওয়ায় তার নাম রাখেন জুবায়েদ মণ্ডল। তিনি আশা করেন, ছেলে জুবায়েদ মণ্ডল এখন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করে একজন বড় আলেম হবে।