গাড়িতে ‘সংসদ সদস্য’ মেটাল ডিস্ক লা’গিয়ে নির্বাচনী প্র’চারণায় কাদের মির্জার ছেলে, জ’রিমানা

মাদারীপুরেও আলোচনা স’মালোচনার জ’ন্ম দিয়েছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা। প্রাইভেট কারে ‘সংসদ সদস্য’ লেখা মেটাল ডিস্ক লা’গিয়ে মাদারীপুরের একটি ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী প্র’চারণায় নেমে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা স’মালোচনার ঝ’ড় উঠেছে।

স্থা’নীয় সূত্রে জা’না গেছে, নোয়াখালীর বসুরহাটের পৌর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা মাদারীপুরের শিবচর উপজে’লার নিখলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ওয়াসিম মাদবর পক্ষে প্রাইভেট কার নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্র’চার-প্র’চারণা চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে নজরে এলে শনিবার রাতে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জ’রিমানা করেন উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

স্থা’নীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জা’নায়, শনিবার বিকেলে কিছু বহিরাগত লোক সংসদ সদস্য লেখা মেটাল ডিস্ক লা’গানো একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-খ ১৩-১৭৫৬) নিয়ে নিলখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াসিম মাদবরের বাড়িতে এসে অব’স্থান করেন। বহিরাগতরা নিলখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াসিম মাদবরের পক্ষে সংসদ সদস্য লেখা প্রাইভেটকারটি নিয়ে ঘুরে কলাতলা, নিলখীবন্দর, বাগমা’রাসহ নির্বাচনী এলাকা ভোটারদের কাছে ওয়াসিম মাদবরের পক্ষে ভোট চান। প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা সংসদ সদস্যের স্টিকার দেখে প্রশা’সনের কাছে জা’নান। নির্বাচন চলাকালীন বিষয়টি আচরণ বিধি লঙ্ঘন হওয়ায় শিবচর থা’না পু’লিশ ওই প্রাইভেট কারসহ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বহিরাগতদের উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তার কাছে নিয়ে আসেন। উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে নিলখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াসিম মাদবরকে ১০ হাজার টাকা জ’রিমানা করেন।

শিবচর থা’নার উপ-পরিদর্শক বরুণ হিরা জা’নান, ‘দুটি প্রাইভেট কার ছিল। একটিতে সংসদ সদস্য লেখা মেটাল ডিস্ক লা’গানো কার। সেই কারে থাকা তাশিক মির্জা নোয়াখালী জে’লার কোম্পানিগঞ্জ উপজে’লার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার ছেলে বলে নিজেকে পরিচয় দেন। জ’রিমানা দেওয়ার পরে ওই প্রাইভেট কার দুটি ছে’ড়ে দেওয়া হয়।’

জানতে চাইলে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াসিম মাদবর বলেন, সংসদ সদস্যের স্টিকার লা’গানো গাড়িতে বসুরহাটের পৌর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা ছিলেন। তিনি আমা’র ভাগ্নে রাইসুল ইসলাম অনিকের ব’ন্ধু। তাশিক মির্জা আমা’র নির্বাচনে কোন প্র’চারণা চালাননি বলে দা’বি করেন তিনি।

জ’রিমানার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জ’রিমানার ১০ হাজার টাকা আমি প্রদান করিনি। ওই টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে কে পরিশোধ করেছে সেটা আমি জানি না।’

ওই ইউনিয়নে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুণ-অর রশীদ বলেন, ‘ওয়াসিম মাদবর বর্তমান নিখলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান। তাই তার দাপট বেশি। নির্বাচনী আচারণ বিধি তিনি কিছুই মানেন না। প্রার্থী ওয়াসিমের ভাগ্নে রাইসুল ইসলাম এলাকায় প্র’ভাব খাটাতে সংসদ সদস্যের ব্যবহৃত গাড়িতে তাশিক মির্জাকে নিয়ে আসেন।’

এ ব্যাপারে শিবচর থা’না ভারপ্রাপ্ত ক’র্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘ’টনাস্থলে পু’লিশ দুটি প্রাইভেট কার শিবচর উপজে’লা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে আসে। উপজে’লা নির্বাহী অফিসার যাচাই-বাছাই করে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড করেন। আ’টককৃত প্রাইভেট কারে কারা ছিল এ বিষয় আম’রা নি’শ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।’

জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও শিবচর উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে উপজে’লা প্রশা’সন ক’ঠোর অব’স্থানে রয়েছে। প্রাইভেট কার নিয়ে নির্বাচনী প্র’চারণা করলে আচারণ বিধি লঙ্ঘন হবে। কিন্তু এক চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ম না মেনে দুটি প্রাইভেট কার নিয়ে নির্বাচনী প্র’চারণা করছিলেন। আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় ওই প্রার্থী ওয়াসিম মাদবরকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জ’রিমানা করে সর্তক করা হয়েছে।’

বিডি-প্রতিদিন