প্রধানমন্ত্রীকে মেসেজ পাঠিয়ে স্বপ্ন পূরণ হলো রানীর

পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে রানী বেগমের (৩৫)। মাথা গোঁজার ঠাঁই একটি ঘর তার নামে বরাদ্দ হওয়ায় তিনি আনন্দাশ্রুতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার ও পিআইও দেলোয়ার হোসেন আমখোলা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রানী বেগমের জন্য বরাদ্দকৃত ঘরের জায়গাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।

উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তাফালবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মো. সহিদুল মোল্লার (৪২) স্ত্রী রানী

বেগম। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে দীর্ঘদিন ঝুপড়িতে বসবাস করছেন তিনি। স্বামীর কোনো সহায়সম্বল ছিল না; যা দিয়ে থাকার মতো মোটামুটি একটি ঘর তৈরি করা যায়।

এ ব্যাপারে রানী বেগম বলেন, গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে আমি আমার মোবাইল ফোন থেকে একটি মেসেজ পাঠালে তার তিন চার দিন পরেই আমাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফোন দিয়ে আমার সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি অবস্থা জানতে চাওয়া হয়। আমি আমার পরিবারের অসহায়ত্বের সবকিছু তাদের খুলে বলি।

তিনি বলেন, কয়েক দিন পরেই আমাকে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার আমাকে ফোন দেন এবং আমাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি ঘর দেওয়ার কথা বলেন। সবকিছু আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে চোখ দিয়ে অঝোরধারায় পানি বের হয়ে আসছিল। আমি তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এত তাড়াতাড়ি এতকিছু সম্ভব।

রানী বেগম বলেন, পর দিন আমখোলা ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা আমার কাছে আসেন। আমাকে একটি ঘর দেওয়ার জন্য সরকারি জায়গা নির্ধারণ করেন। আমি সত্যিই হতবাক হয়ে গেছি, আমার কাছে পুরোটাই এখনও স্বপ্ন মনে হচ্ছে।

রানী বেগম আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ও একটু কথা বলার। আমি আমার মেসেজের উত্তর পেয়েছি। আমি আজ কতটা আনন্দিত ও প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার

হোসেন বলেন, রানী বেগমকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ করা ঘরের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং তার ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।