ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘জটাধারী’ এই র’হ’স্যময় সাধুকে ঘিরে চা’ঞ্চল্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত তিন শত বছরের পুরনো শ্রীশ্রী কালভৈরব মন্দিরের বার্ষিক যজ্ঞ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ছিল উৎসবের শেষদিন।

এদিকে উৎসবে আসা রহস্যময় এক সাধুর আগমনকে ঘিরে ভক্তদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যা’পক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সাধু শিব মন্দিরের সামনে একটি গাছের নিচে জটা মেলে বসে আছেন। তার বিশালাকার জটা দেখার জন্যে মন্দিরে আসা ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভক্তরা সাধু বাবার কাছে গিয়ে নিচ্ছেন আশীর্বাদ। আবার কেউ প্রণাম করে দিচ্ছেন টাকা।

কেউ আবার নিজ সন্তানের জন্যে আশীর্বাদ কামনা করছেন। সঙ্গে থাকা মোবাইল দিয়ে তুলছেন ছবি। আবার একধাপ এগিয়ে সাধু বাবার পরিচয় জানার চেষ্টাও করছেন। কিন্তু তিনি নির্বাক থাকায় তার সঠিক নাম পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দর্শনার্থীরা।

মন্দিরে আসা ভক্তরা জানান, এই সাধুবাবা কখনও ধ্যান করছেন। কখনও ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। কখনও ভক্তদেরকে করছেন আ’শীর্বাদও। তার এই র’হ’স্যময় আ’চ’রণের কারণে ভক্তদের মধ্যে আগ্রহের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ।

সংবাদ কর্মী হিসেবে সময় সংবাদের প্রতিবেদক ওই সাধু বাবার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি বা’করু’দ্ধ। কথা বলতে চাননি। এই প্রতিবেদককে তিনি তার লেখার মাধ্যমে জানান, তিনি বা’করু’দ্ধ কথা বলতে পারেন না। তবে কলম দিয়ে তিনি তার নাম পরিচয় জানানোর চেষ্টা করেছেন। তার নাম নিতাই দেবনাথ। বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শ্রীঘর গ্রামে। তিনি বিভিন্ন উৎসব পার্বণে যোগ দিয়ে থাকেন। গত ৫০ বছর ধরে তিনি এই জটা ধারণ করে আসছেন।

এদিকে মন্দিরে আসা ভক্ত পূর্নিমা দাস বলেন, এই সাধুকে দেখে আ’ধ্যা’ত্মি’ক সাধু বলে মনে হচ্ছে। তিনি আমার ছেলেকে আশীর্বাদ করেছেন। আমাদের পরিবারের সবাই তার কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়েছি।

আরেক ভক্ত সুমন দাস বলেন, এই সাধুকে আমি বেশ কয়েকটি উৎসবে দেখেছি। সবাইকে তিনি আশীর্বাদ করছেন। তাকে দেখে অনেকে আবার প্রণাম করে টাকা দিচ্ছেন। তিনি তা সাদরে গ্রহণ করছেন।

মন্দিরে আসা কালভৈরব ভক্ত ঈশিতা চক্রবর্তী জানান, সাধু বাবাকে দেখে শিব বাবার পরম ভক্ত মনে হয়েছে। তাই মেয়েকে নিয়ে সাধু বাবার আর্শীর্বাদ নিয়েছি। তার বৃহৎদাকারের জটা দেখে অনেকটা র’হ’স্যময় মনে হয়েছে। তাই মনের দিক দিয়ে তাকে দেখার আগ্রহ বেড়েছে।

কালভৈরব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত নারায়ন চক্রবর্তী বলেন, ‘মন্দিরে বার্ষিক উৎসবকে কেন্দ্র করে অনেক সাধু সন্যাসীরা প্রতি বছর এসে থাকেন। তিনিও তাদের একজন। আমরা উৎসবের শুরু থেকে তাকে শিব মন্দিরের আশেপাশেই দেখছি। নিশ্চই তার উপর কাল ভৈরব বাবার আশীর্বাদ রয়েছে। আর ভক্তরা তাকে এক নজর দেখার জন্যে ভিড় করছেন।