কোরআনের টানে কোরআন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ !

মারকাজুত তাহফিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ আজকের আয়োজিত দশম ‘জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা’র গ্র্যান্ডফিনাল অনুষ্ঠানে এইমাত্র উপস্থিত হয়েছেন তিনি। বিস্তারিত আসতেছে… মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সমমনা ইসলামী দলসমূহের বিক্ষোভ।

বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং কাশ্মীর-দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের খলনায়ক দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে সমমনা ইসলামী দলসমূহ।

বাদ জুম’আ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সমমনা ইসলামী দলসমূহের মুখপাত্র মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাদ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের আগমন নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশের জনগণ এসব রাষ্ট্রীয় অতিথিদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাতে পারে না।

কারণ, ভারত বছরের পর বছর ধরে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি প্রবাহ শুষ্ক মৌসুমে প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। সীমান্তে বাংলাদেশী জনগণকে লাগাতার পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে।

বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অসম বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক শোষণ চালাচ্ছে। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের প্রসার ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করে যাচ্ছে।

এছাড়া কাশ্মীর ও দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা চালিয়েছে। ভারতীয় বাংলা ভাষাবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদেরকে বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে গোটা উপমহাদেশ ব্যাপী চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে।

কাশ্মীর গুজরাটসহ ভারতীয় মুসলমানদের রক্তে বার বার রঞ্জিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর হাত। সুতরাং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ কোনভাবেই স্বাগত জানাতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচি মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মাওলানা আশিকুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী ও মহাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারেক আল হাসান।

খেলাফত আন্দোলন এর নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী এবং ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ হাসান ও মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহমান।