রোমানার মতো শোবিজে অনেকেই?

মডেল এবং অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণাকে প্রতারণার মা’মলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন রোমানা স্বর্ণা জে’লে আছেন। একজন সৌদি প্রবাসী নাগরিককে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার স’ঙ্গে প্রতারণার করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোমানা স্বর্ণা গ্রেফতার হওয়ার পর এখন তার বি’রুদ্ধে অনেক অভিযোগ আ’সছে। তবে আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে যে, শুধু রোমানা স্বর্ণা একা নয় শোবিজে’র অনেক তারকার বি’রুদ্ধেই এ ধ’রনের প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেইলিং এর অভিযোগ আছে।

আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন উধ্বতন ক’র্মকর্তা বলেছেন, এমন অনেক তারকা আছেন যাদের কোনো কাজ নেই। তাদের আয় উপার্জনের কোনো বৈ’ধ এবং সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস নেই। কিন্তু তারা যে ধ’রনের জীবন যাপন করেন তা অবিশ্বা’স্য এবং বিস্ময়কর। আম’রা এদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করছি। শোবিজে’র একজন তারকা আছেন যিনি একাধিক বিয়ে ক’রেছেন। কিন্তু এখন তিনি কোনো কাজে’র মধ্যেই নেই। গত প্রায় ২ বছর তাকে কোনো রকম কোনো শোবিজে’র ক’র্মকাণ্ডে দেখা যায় না। কিন্তু তিনি বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। তিনি দামি গাড়ি ব্যবহার করছেন। দামি বাড়ি কিনেছেন। তার আরো নানা রকম সম্পদের হিসেব পাওয়া যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেখছে যে, রোমানা স্বর্ণার মতো তিনিও বিভিন্ন ব্য’ক্তির স’ঙ্গে প্রতারণা করেন। প্রতারণার ফাঁদ পাতেন এবং তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে চলেন। একইভাবে সিনেমা জগতের অ’ন্তত দুজন তারকার ব্যাপারেও এখন অভিযোগ পাওয়া গেছে যারা বিভিন্ন মানুষের স’ঙ্গে প্রতারণা করে সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন। টেলিভিশনের একজন তারকা যিনি একটি ফটোসু’ন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন তার ব্যাপারেও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মজার ব্যাপার হলো আ’ইনশৃ’ঙ্খলা র’ক্ষাকারী বা’হিনীর বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, এরা এখন আবার আওয়ামী লীগার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশ বা ক’র্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। এই সমস্ত তথাকথিত অভিনেত্রীরা রাজনীতিকে একটি বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং সরকারের প্র’ভাবশালী ব্য’ক্তিদের স’ঙ্গে ওঠাবসা করে এমন একটি আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছেন যাতে অন্যরা ভ’য় পায় এবং তাদেরকে ক্ষ’মতাবান মনে করে।

নাম প্র’কাশে অনিচ্ছুক আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন ক’র্মকর্তা বলছেন যে, এদের প্রতারণার কৌশল দুটি। প্রথমত এরা বিভিন্ন মানুষকে বিশেষ করে প্রবাসীদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফে’লে ন। তাদেরকে বিয়ে করা, তাদের নিজেদের কষ্টের এবং দুঃখের কথা বলে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের স’ঙ্গে স’স্পর্ক স্থাপন করেন। স’স্পর্ক করে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন এবং এই অর্থ হাতিয়ে নেয়াটা যেনো নিয়মিত হয় সেজন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেইলিং করে।

দ্বিতীয়ত, তাদের এই সমস্ত অপক’র্ম যেনো কোথাও ফাঁ’স না হয় সেজন্য তারা সরকার এবং প্রশা’সনের প্র’ভাবশালী ব্য’ক্তিদের স’ঙ্গে সক্ষ’তা তৈরি করেন। যেহেতু তারা শোবিজে’র পরিচিত মুখ, ফলে প্রশা’সন বা রাজনীতিবিদদের সক্ষ’তা হওয়াটা খুব সহজ বিষয়। এই সক্ষ’তার সূত্র ধ’রে তারা এমন একটি অব’স্থানে যান যেখানে যারা প্রতারিত হন তারা তাদের বি’রুদ্ধে কোনো আ’ইনগত ব্যব’স্থা বা মুখ খুলতে সাহস পান না। সৌদি প্রবাসী ভদ্রলোকও দীর্ঘদিন ধ’রে রোমানা স্বর্ণার বি’রুদ্ধে অভিযোগ ক’রতে গিয়ে বা’ধাগ্রস্থ হয়েছিলেন। তাকে বিভিন্ন মহল থেকে হুঁশিয়ারিও করা হয়েছিল। তারপর কোনো না উপায় দেখেই তিনি এ অভিযোগ করেন।

অন্য যারা রোমানা স্বর্ণার মতো করছেন, মূলত ক্ষ’মতাবানদের স’ঙ্গে স’স্পর্কের কারণেই অনেকেই তাদের ব্যাপারে মুখ খুলছে না। তবে রোমানা স্বর্ণার ঘ’টনার পর আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে একাধিক শোবিজে’র তারকার বি’রুদ্ধে অভিযোগ আ’সছে। তবে আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে যে, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তারা কিছু ক’রতে পারবে না। তাদের কাছে লিখিত এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হবে। লোকলজ্জার ভ’য় এবং নানা বাস্তবতায় অনেকেই লিখিত অভিযোগ ক’রতে ভ’য় পাচ্ছেন। তবে আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে বলা হচ্ছে যে,বাংলাদেশের শোবিজে’র বেশকিছু তথাকথিত মানুষ আছেন যাদের আয়ের স’ঙ্গে ব্যায়ের কোনো মিল নেই। তারা যে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন, নিত্যনতুন গাড়ি বদল করেন কিভাবে করেন সেটি ক্ষ’তিয়ে দেখা দরকার।

তবে এ ব্যাপারে আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থা মনে করে যে, তাদের চেয়ে এনবিআর এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেশি নজরদারি থাকা দরকার। আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থা তখনই কোনো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ ক’রতে পারে যখন সুনির্দিষ্ট অপরাধ সংঘটিত হয় এবং সেই অপরাধের জন্য কেউ অভিযোগ করে। অভিযোগ ছাড়া একজন শোবিজে’র ব্য’ক্তি কি করছেন সেটি দেখার এখতিয়ার আ’ইন প্রয়োগকারী সংস্থার নেই।