জন্মালে মরতে হবে- এই কথাটা ধ্রুব সত্য। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে মানুষের গড় আয়ু ৬৯ বছর। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটু নিয়ম মেনে চললে ৮০-৯০ বা ১০০ বছরের কাছাকাছি বাঁচা সম্ভব। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, মানুষের স্বাভাবিক আয়ু ১৫০ বছর হওয়া উচিত। তবে আমরা নানা কারণে আমাদের আয়ু বা জীবনকাল কমিয়ে ফেলি। কি হতে পারে সেসব কারণ, তা জানবো আজ…
একা থাকা: একাকিত্বটা সব শ্রেণির মানুষের জন্য অভিশাপ। তবে অনেকেই একা থাকতে পছন্দ করেন। মনে করেন এতে করে চাপ এড়ানো যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একা থাকা মানে জীবনের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া। যা আয়ু কমাতে পারে। মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ান হোল্ট-লুনস্টাড মনে করেন, দিনে ১৫টি সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়, পর্যাপ্ত সামাজিক যোগাযোগ না করলেও সেরকম ক্ষতি হতে পারে।
যৌনসম্পর্ক: যেসব পুরুষ মাসে কমপক্ষে একবারও যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হননি তাদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা, যারা সপ্তাহে অন্তত একদিন যৌনসম্পর্ক করেছেন, তাদের চেয়ে দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের গবেষণা।
বেকারত্ব: আমাদের দেশে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পরছে বেকারত্বর মারাত্মক প্রভাব। এর প্রভাব ওই বেকার মানুষটার জীবনকেও খুব প্রভাবিত করতে পারে। ক্যানাডার গবেষকরা বলছেন, একজন মানুষ বেকার থাকা মানে তার অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়া।
বেশি ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন সবার আছে। তবে দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘুমানো ঠিক নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে এত সময় ধরে ঘুমানো স্বাস্থ্যকর নয়। দিনে সর্বোচ্চ সাত ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত ব্যায়াম: শরীর গড়ার দোহাই দিয়ে অনেকেই মাত্রারিক্ত ব্যায়াম করে থাকে। যদিও ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু সেটা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ব্যায়াম করা উচিত।
দীর্ঘ সময় বসে থাকা: বর্তমানের মানুষ সাধারণত ঘরে বসেই কাজ করছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে অনেকের কাজ এখন ল্যাপটপের স্কিনে সিমাবদ্ধ হয়ে গেছে। ফলে একজন মানুষকে একটা দীর্ঘসময় একই জায়গায় বসে থাকতে হেচ্ছে। দিনে গড়ে ১১ ঘণ্টার বেশি সময় বসে থাকা মানে পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাওয়া বলে জানিয়েছেন আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল।