থালা নিয়ে পথে বসতে হবে মিজানকে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজে’লার ব্রম্মপুর গ্রামে আধিপত্য বি’স্তার নিয়ে দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি হা’মলার বলি হয়েছেন দৃষ্টি প্রতিব’ন্ধী মিজানুর রহমান। তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছোট্ট দোকানেও ভাঙচুর-লুটপাট চালিয়েছে হা’মলাকারীরা। এখন দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য তার পথে বসার অবস্থা হয়েছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দ’ফা সং’ঘর্ষ হয় ওই উপজে’লার ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের স’ঙ্গে জুলফিকার কায়সার টিপু নামে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সম’র্থকদের মধ্যে। এ সময় অ’ন্তত ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।

খোঁ’জ নিয়ে জা’না গেছে, মিজানুর রহমান জ’ন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিব’ন্ধী, দুই চোখে একদমই দে’খতে পান না। তিন বছর আগে বাবা-মা তাকে বাড়ির স’ঙ্গে ই ছোট্ট একটি মুদি দোকান তৈরি করে দিয়েছেন। এরপর বিয়েও করিয়েছেন। সেই থেকে এই দোকানের আয়েই চলছিল ২৫ বছর বয়সী এ যুবকের সংসার।

স্থা’নীয়রা জা’নায়, মিজানুর চোখে দে’খতে পায় না। ক্রেতারা নিজে’রাই দোকান থেকে মালামাল নিয়ে টাকা-পয়সা দিয়ে যায়। কেউ বাকি নিলে তারাই খাতায় লিখে দিয়ে যায়। ছোট্ট দোকানটার কারণেই মিজানুরের দিনগুলো যাচ্ছিল কোনোমতে। তবে শেষ র’ক্ষা হলো না। হা’মলাকারীরা তার দোকান তছনছ করে দিয়েছে। ফ্রিজ ভাঙচুর, মালামাল ছাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

দৃষ্টি প্রতিব’ন্ধী মিজানুর রহমান বলেন, দোকানটাই ছিল আমা’র আয়ের একমাত্র উপায়। এই দোকানের আয়েই আমা’র পরিবারের খাবার জুটতো। লোন তুলে দোকানের মালামাল কিনেছিলাম। সেই লোনও শোধ হয়নি। এখন আমি কী’ করব? থালা নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

তিনি আরো বলেন, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করায় আমা’র ৮০-৮৫ হাজার টাকার ক্ষ’তি হয়েছে। হা’মলার সময় আমা’র মা আমাকে বাড়ির পেছনে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। নইলে হয়তো আমাকেও মা’রধ’র করতো হা’মলাকারীরা।