স্ত্রী ডিভো’র্স লেটার পা’ঠানো র পর স্বামী আ’ত্মহ’ত্যা

আড়াই বছর আগে পারিবারিক ভাবে আলমগীরের বিয়ে হয় জে’রিন আকতারের স’ঙ্গে । ভালোই কাটছিল তাদের দা’ম্পত্য জীবন। এরই মধ্যে বিদেশ চলে যান আলমগীর। কিন্তু করো’না প্রকোপের কারণে দেশে চলে আসেন গত বছরের জুন মাসে।

এরপরই বেকার স্বামীকে আর সহ্য হচ্ছিল না জে’রিনের। বাপের বাড়ি গিয়ে স্বে’চ্ছায় ও পাঠান ডাকযোগে। কিন্তু স্ত্রীকে কোনভাবেই ছাড়তে নারাজ ছিলেন আলমগীর। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে আ’ত্মহননের পথ বেঁছে নেন তিনি।

মঙ্গলবার (২ মা’র্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গহিরা এলাকায় এ ঘ’টনা ঘ’টে। নি’হত মো. আলমগীর (২৫) ওই এলাকার জুহুরুল ইসলাম প্র’কাশ বিল্লাল মিয়ার পুত্র।

নি’হতের পারিবারিক সূত্রে জা’না যায়, দুবাই থেকে দেশে ফি’রে বেকার হয়ে প’ড়েন আলমগীর। এরপর থেকে তার স্ত্রী তাকে পছন্দ করছেন না জা’নিয়ে বারবার ডিবো’র্সের কথা জা’নিয়েছিল। মুখদিয়ে স্বামীকে তালাক দেওয়ার কথা বের করায় পুনরায় আকদ হয়। এরপর গত তিনমাস আগে স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যায়।

কাবিনের টাকা দা’বি না করেই স্বেচ্ছায় ডিভোর্স দেন। ডাকযোগে ডি’ভোর্স লেটার পেয়ে মেয়ে পক্ষের দেওয়া আসবাবপত্র পাঠিয়ে দেন আলমগীরের পরিবার। কিন্তু আলমগীর তার স্ত্রী’কে ডিভোর্স দেওয়ার পক্ষে ছিলেন না। স্ত্রীকে বারবার ঘরে ফেরার চেষ্টা করেও ব্য’র্থ হওয়ায় অ’ভিমানে নিজেই ফাঁ’সিতে ঝুলে প’ড়েন তিনি।

নি’হত আলমগীরের মা ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘বউ যেহেতু কাবিনের টাকা দা’বি ছাড়া স্বেচ্ছায় ডি’ভোর্স দিয়েছে সেখানে আমাদের করণীয় কিছুই থাকে না। আম’রা বলেছিলাম তাকে আবার বিয়ে করাবো। স্ত্রীর প্রতি এত ভালোবাসা ছিল বলার বাইরে। শেষ পর্যন্ত বউ বউ করে আমর ছেলেটাই মরে গেল।’

রাউজান থা’নার অ’ফিসার ইনচা’র্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বিষয়টি নি’শ্চিত করে বলেন, ‘ঘ’টনার খবর শুনে আমি নিজেই সেখানে গিয়েছি। মৃ’ত্যুর রহ’স্য ম’য়নাতদ’ন্তের রিপোর্ট পেলে জা’না যাবে। এ ব্যাপারে তদ’ন্ত চলছে।