জামালপুরের সেই ডিসির সাজা, কমানো হয়েছে বেতন

জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে জনপ্রশা’সন মন্ত্রণালয় বেতন গ্রেড কমানোর শা’স্তি দিয়েছে। অফিসের একজন নারী পিয়নের স’ঙ্গে আপ’ত্তিকর স’স্পর্কে জড়ানোয় শা’স্তি হিসাবে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের বেতন গ্রেড কমিয়ে দিয়েছে জনপ্রশা’সন মন্ত্রণালয়। এটা শা’স্তি। উপসচিব হিসাবে তিনি বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শা’স্তির কারণে তিনি এখন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন।

ক’র্মচারী (শৃ’ঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গুরুদন্ড হিসেবে শা’স্তির বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে ব’রখাস্ত।

অর্থাৎ, সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর তাই পাবেন। তিনি উপসচিব পদে বহাল থাকলেও তার বেতন অর্ধেক কমে যাচ্ছে। খবর সংশ্লি’ষ্ট সূত্রের।

তদ’ন্ত সংশ্লি’ষ্টরা জা’নান, নিম্ন পদে নামিয়ে দেওয়ার শা’স্তি দেওয়া হলে আহমেদ কবীর বিদ্যমান বেতনই পেতেন। আর নিম্ন বেতন গ্রেডের শা’স্তি দেওয়ায় তাঁর বেতন অর্ধেক কমে গেল, তবে তিনি পদে বহাল থাকলেন।

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আহমেদ কবীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। লিখিত কারণ দর্শানোর স’ঙ্গে তিনি ব্য’ক্তিগত শুনানি চান। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় মন্ত্রণালয় তাঁর বিষয়ে তদ’ন্ত ক’র্মকর্তা নিয়োগ দেয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাজেট) মাসুদুল হাসানের প্রথম তদ’ন্তে ভুল থাকায় দ্বিতীয় দ’ফায় প্র’তিবেদন দেন। ওই প্র’তিবেদনের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরকে শা’স্তি দেওয়া হয়েছে। তদ’ন্ত ক’র্মকর্তা উল্লেখ ক’রেছেন, অ’ভিযুক্তের বি’রুদ্ধে সরকারি ক’র্মচারী (শৃ’ঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অ’ভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

শা’স্তির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদ’ন্ত প্র’তিবেদনসহ অন্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে তাঁকে তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পিএসসির প’রামর্শ চাওয়া হলে তারা একমত পোষণ করেছে। একই স’ঙ্গে রাষ্ট্রপতিও এই বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।