ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ থানকুনি। এ পাতায় রয়েছে নানা ধরনের ওষুধি গুণ। যার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়। বলা হয়ে থাকে, কেউ যদি নিয়মিত থানকুনি পাতা খান, তাহলে মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক থানকুনি পাতার ওষুধি কিছু গুণ…
ক্ষতের চিকিৎসা: গ্রামাঞ্চলে এ ধরনের চিকিৎসা অনেক দেখা যায়। শরীরের কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প করে থানকুনি পাতা বেঁটে লাগিয়ে দিলে ক্ষত সারাতে খুব দারুণ কাজ করবে।
আমাশয় দূর করে: ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়দের যাদের পেটে সমস্যা তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেয়ে দেখুন। টানা এক সপ্তাহ এ পাতার রস খেলে আপনার আমাশয় অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।
কাশির প্রকোপ কমে: দুই চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি কমে যায়। আর যদি এক সপ্তাহ খেতে পারেন, তাহলে সেটা সুদূরপ্রসারী ফল এনে দিবে।
জ্বরের প্রকোপ কমে: জ্বর সারাতেও থানকুনি পাতার জুড়ি মেলা ভার। জ্বরের সময় এক চামচ থানকুনি এবং এক চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়েই জ্বর সেরে যায়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি করে। থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল থাকে; যা, ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।