অ’সু’স্থ জে’নেও ভালোবেসে বিয়ে করে কিডনি দিয়ে সজিবের প্রা’ণ বাঁ’চালেন তানিয়া

নাম সজিব আহমেদ ব’য়স ২৬ বাসা- নারায়নগঞ্জ তার জীবন এ এমন কিছু ঘ’টনা ঘ’টে গেছে তার কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, গত ১৯/০৯/২০১৭ তে তার কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করায়, ট্রান্সপ্লান্টের আগে প্রায় ১.৫ বছর সে ডায়ালাইসিস করায়।

ডায়ালাইসিস যে কত ক’ষ্ট সেটা আল্লাহ আর যে করে সে ছাড়া আর কেউ কল্পনা ক’রতে পারবে না। তাকে কিডনি দিয়ে জীবন বাচিয়েছে তার প্রান প্রিয় স্ত্রী #তানিয়া। তানিয়ার সাথে তার পরিচয় ২০১৪ সালে ফেইসবুক, এ পরিচয় পরে ভালোবাসায় রুপ নেয়। প্রথম এ তার মা, বাবা কিডনি দিতে চাইলেও কারো সাথে তার ম্যাচ করে নি তাই তারা কেউ কিডনী দিতে পারে নি,

আর মা নিজেই অ’সু’স্থ তাই দিতে পারবে না, তখন সে মা’নুষিক ভাবে অনেক ভে’ঙে পরে। আর তানিয়ার সাথে তখন তার প্রেম একটু গ’ভীরে চলে। #তানিয়া তখন তাকে অনেক সাহস দিত আর বলতো যে আমি তোমাকে কিডনি দিব,তুমি বেঁ’চে থাকলে আমি বাঁচবো, তুমি ম’রে গেলে আমি ম’রে যাবো, তোমাকে ছাড়া আমা’র কল্পনার আকাশ আলোবিহীন হয়ে পড়বে, আলোবিহীন জীবন আমি চাই না, আমি তোমাকেই ডিডনী দিবো এটাই ফাইনাল।

কিন্তু বি’ষয় টা প্রথম এ সে বি’শ্বা’স করলেও তার সকল ব’ন্ধু, আত্বীয়, ইউনিটের কোন স্যার বি’শ্বা’স করে নি, সে তানিয়াকে অনেক বিশ্বা’স করতো ভালোবাসার বিশ্বা’স আর সেই বিশ্বা’স এ সবাই না করার স’ত্যেও সে প্রায় ১,৫৫,০০০/- টাকার টেস্ট করায়, আল্লাহ তাদের সহায় তাই সব কিছু মিলেও যায়।

এরপর সবাই কে বি’ষয় টা জা’নিয়ে অপারেশন এর এক সপ্তাহ আগে অপারেশন এর নিয়ম অ’নুযায়ী আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সে তানিয়াকে বিয়ে করে এবং ১৯/০৯/১০১৭ তারিখে সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়, সে তানিয়াকে বিয়ে না করলে হয়তো বুঝতো না যে পৃথিবীতে এমন ভালো মানুষ আছে যার উছিলায় আল্লাহ তাকে নতুন জীবন দান করছেন, আর ভালোবাসার মূ’ল্য হয় না।

কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ক’রতে তার মোট খরচ হয় প্রায় ৩২,০০,০০০/- টাকা।পরবর্তীতে ঔষধ বাবদ মাসিক আরো ৩৫,০০০/- লাগতো।বর্তমানে কমে আমা’র প্রায় ২৩,৫০০/- টাকার ঔষধ লাগে যা ক’রোনাভা’ইরাসে এর জন্য বেড়ে হয়ে গেছে ৩০-৪০,০০০/- হাজার। তার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট, তার টেনশনে অনেক অ’সু’স্থ হয়ে যাচ্ছে আল্লাহ যানে কি হবে, আজ ৭ দিন সে বি’ছানায় সুয়ে আছে শ’রীর অনেক দু’র্বল হয়ে গেছে ওজন কমে যাচ্ছে।

সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন যেন তাদের ভালোবাসা নিয়ে বেচে থাকতে পারে। তোমাদের জন্য নিরন্তর দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। “ভালোবাসা বেচে থাকুক চিরজীবন।