দেশে করো’না প’রিস্থিতি শান্ত হবার সাথে সাথে অশান্ত হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। আবার ক্ষ’মতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মু’খোমুখি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার এবং বিরো’ধীদল দুপক্ষই এবার হার্ডলাইনে।
ক্ষ’মতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপির শেষ শেকড় টুকু উপ’ড়ে ফেলতে চায়। এ কারণে আচ’মকা তারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বা’তিলের সিদ্ধা’ন্ত নিয়েছে। অন্যদিকে আল-জাজিরার রিপোর্ট, স্থা’নীয় সরকার নির্বাচনে কারচুপি এবং জিয়ার বীর উত্তম খেতাব বা’তিল নিয়ে
‘চূড়ান্ত লড়াইয়ে’ নামতে চায় বিএনপি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, যু’দ্ধাংদে’হী অব’স্থানে থাকলেও এখনই রাজনীতিতে বড় ধ’রনের গোলযোগের শ’ঙ্কা নেই। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দল মাঠের শ্রেষ্ঠত্ব র’ক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে স্থা’নীয় সরকার নির্বাচনে কারচুপির নানা অ’ভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্র’কাশ্য কোন্দল, আল-জাজিরার রিপোর্ট নিয়ে সরকার কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলো। সরকারের ভেতরই এ নিয়ে নানা অস্বস্তি দেখা গেছে। সেখান থেকে
বেরোতে আওয়ামী লীগ বিএনপির সামনে খেতাব ইস্যু ঝুলিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে বিএনপিকে মাঠে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়া যাবে না। দলটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত, নানা টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত। এখন বিএনপির প্রতি আগ্রাসী হলেই দলটি মুসলীম লীগে প’রিণত হবে।
অন্যদিকে, বিএনপির মধ্যে তীব্র আন্দোলনের দা’বি প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। দলের তৃণমূল এবং মাঠ পর্যায়ের নেতারা মনে করছে, তীব্র আন্দোলনই বিএনপির বেঁ’চে থাকার একমাত্র উপায়। আন্দোলনের মাধ্যমেই সংগঠন গড়ে উঠবে- এই মনোভাবই দলে এখন বেশি। আর একারণেই তারা বিভিন্ন
সিটি কর্পোরেশনে সমাবেশ দিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বড় ধ’রনের ক’র্মসূচি নিয়ে মাঠে দাঁড়াতে চায় দলটি। বিএনপির নেতারা মনে করেন, সরকারের ভেতরের অবস্থা ভালো নয়। সরকার মুখে যাই বলুক না কেন, আল-জাজিরার রিপোর্ট সরকারকে ভালো বিব্রত করেছে। তাছাড়া দু’র্নীতি নিয়ে এখন
আওয়ামী লীগের ভেতরেই কথা’বা র্তা বেশি হচ্ছে। বিএনপির শী’র্ষ নেতারা মনে করেন, জনগণের মধ্যে সরকারকে নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন। এজন্য আন্দোলনের এখনই সময়। বিএনপির নেতারা মনে করেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বা’তিলের সিদ্ধা’ন্ত বিএনপির জন্য এক ধ’রনের আর্শীবাদ। এর ফলে দলের আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা নেতৃবৃন্দের জন্য কোন যুক্তিই রইল না।