ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নামধারী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিজয়ের মাসে শ্রমিক, শিক্ষক, আইনজীবীদের ওপর রাতের অন্ধকারে হামলা হয়, এটা আমাদের ৪৯ বছরের স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। সরকার আজকে কারও কথা শুনতে চায় না।
তারা ক্ষমতা হারানোর ফোবিয়াতে ভুগছে। যখনই কেউ তাদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবি সরকারের কাছে জানায়, রাজপথে আসে তখনই সরকার ভাবে- এই বুঝি তাদের গদি নড়বড়ে হলো। তারা দমন পীড়ন করে মানুষের কণ্ঠকে দমন করতে চায়। ঐক্যবদ্ধ হলে এই স্বৈরশাসন আর টিকতে পারবে না।’
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ।
নুর অভিযোগ করে বলেন, ‘রোহিঙ্গার মতো একটি আন্তর্জাতিক সমস্যাকে শুরু থেকেই সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশ কাটিয়ে তারা তাদের তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। না পেরে জটিল পরিস্থিতিতে এখন পড়েছে, যেখানে জাতিসংঘসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা বলছে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের না নেয়ার জন্য। সবার মতামত উপেক্ষা করে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে সমাধানের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে।’
এ সময় তিনি প্রেসক্লাবে শ্রমিক, শিক্ষক ও আইনজীবীদের ওপর নির্বিচারে হামলা এবং কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে ছাত্র-শ্রমিক-শিক্ষক জনতাকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।