আজ ৮ ডিসেম্বর। নেত্রকোনা ট্র্যাজিডি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আজ পাঁচ মিনিট স্তব্ধ ছিল নেত্রকোনা।
২০০৫ সালের এই দিন সকালে নেত্রকোনার উদীচী কার্যালয়ে জেএমবির জঙ্গীদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় উদীচীর শিল্পী খাজা হায়দার হোসেন ও সুদীপ্তা পাল শেলী এবং গ্যারেজ কর্মচারী যাদব দাস, গৃহিণী রানী আক্তার, মাছ বিক্রেতা আফতাব উদ্দিন, রিকসাচালক রইছ উদ্দিন, ভিক্ষুক জয়নাল আবেদীন ও আত্মঘাতী জঙ্গি কিশোর কাফি নিহত হন।এছাড়া আহত হন আরও অন্তত ৬০ জন।
ওই হামলার পর নিহত গ্যারেজ কর্মচারী যাদব দাসকে ‘হিন্দু জঙ্গী’ হিসেবে চিহ্নিত করে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু জনতার প্রতিবাদের মুখে সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
অনুষ্ঠানে উদীচির যুগ্ন সম্পাদক সঞ্জয় সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ট্র্যাজিডি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত ঘোষ, উদীচির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক বাচ্চু, সম্পাদক অসিত ঘোষ, জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, মহিলা পরিষদের সম্পাদক তাহেজা বেগম, নেত্রকোনা সাহিত্য-সমাজের সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান প্রমুখ।
প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় উদীচী কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, সাড়ে ৯টায় অজহর রোডে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানববন্ধন’ এবং ১০টা ৪০ থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাঁচ মিনিট রাস্তায় দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে ‘ট্র্যাজেডি দিবস’ পালিত হয়।