ফরিদপুরের সদরপুরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। খবর পেয়ে অ’ভিযা’ন চালিয়ে বাল্যবিয়ের অ’পরা’ধে ওই বৃদ্ধ, মেয়েটির মা, নানা ও নানিকে আট’ক করে বিভিন্ন মেয়াদে
জে’ল-জ’রিমা’না করেছেন ভ্রাম্যমাণ আ’দালত। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সতের রশি গ্রামে এ অ’ভি’যান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূরবী গোলদার।
বাল্যবিয়ের দায়ে বৃ’দ্ধ মোহাম্মদ ফকিরকে এক বছরের বি’নাশ্র’ম কা’রা’দ’ণ্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জ’রিমা’না
করেন। জ’রিমা’না অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বি’নাশ্রম কারাদ’ণ্ড ভো’গ করতে হবে। এছাড়া আদালত কিশোরীর মা ফাতেমা বেগমকে ছয় মাস, নানা খবির তালুকদার এবং নানি হালিমুন্নেসাকে এক মাস করে বি’নাশ্রম
কা’রাদ’ণ্ড দেন। দ’ণ্ডপ্রাপ্ত বৃদ্ধ মোহাম্মদ ফকির সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের বাসিন্দা। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আদা’লতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর গো’পনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ওই বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হয় স্কুলছাত্রীর। এ বিয়ের ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বা’ধা দিলেও তার মা গো’প’নে বিয়ে সম্পন্ন করান। শুক্রবার রাতে নতুন
জামাই হিসেবে মোহাম্মদ ফকির শ্বশুরবাড়িতে গেলে মেয়ের অন্যান্য স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে আ’টক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেন।
খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার তাৎক্ষণিক ওই মেয়েটির
বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোহাম্মদ ফকির, মা ফাতেমা বেগম, বিয়ের সঙ্গে জ’ড়িত থাকায় মেয়ের নানা ও নানিকে আ’টক করেন। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে জে’ল-জ’রিমা’না করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার বলেন, বাল্য’বিবাহ নিরো’ধ আইন ২০১৭ এর বিভিন্ন ধারায় এ শা’স্তি দেয়া হয়। কা’রা’দ’ণ্ডপ্রাপ্তদের কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে।