একের পর এক জনপ্রতিনিধিরা বেশির ভাগই যখন কথা রাখে না। ভোটের সময় যখন আসে। ঠিক তখনই শুধু মাত্র জনগনের সঙ্গে হাতে হাত মিলায় তারা। এবার তেমনই একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ায়। প্রকৃত পক্ষে পেশায় তিনি টিবয় সহজ সরল।
নাম সোবারেক হোসেন। কিন্তু শহরজুড়ে ফালতু নামেই পরিচিত তিনি। এবার কুষ্টিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার ব্যানার আর পোস্টারে শোভা পাচ্ছে শহরজুড়ে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানান আলোচনা-সমলোচনা থাকলেও অনেকেই বলছেন,যারা নির্বাচনে
প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনের সেবা না করে নিজেরা অন্যায় অপকর্ম করে বেড়ায় সেই ফালতুর চেয়ে এই ফালতু ভালো। তাই আমরা আমাদের কথা বলাতে সোবারেক হোসেন (ফালতু) কে কাউন্সিল হিসেবে পৌরসভায় পাঠাতে চাই।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডবাসী বলছে, সারা বছর খোঁজ থাকে না। ভোটের সময় হলেই আমাদের দ্বারে দ্বারে ছুটে আসেন নতুন নতুন নেতারা। অনেক তো দেখলাম। কেউ কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তাই এবার নকলের ভিড়ে আসল ফালতু কেই বেঁচে নিয়েছি। এ নির্বাচনে কাউন্সিল পদে ফালতুকেই একটা সুযোগ দিতে চান তারা।
এ ব্যাপারে সোবারেক হোসেন ফালতুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,মানুষের দোকানে পানি টেনে ও দোকান ঝাড়ু দেওয়ায়
আমার কাজ। আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। আমি এখনও মানুষের সেবা করি। পরবর্তীতেও সেবা করে যাব।
নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, প্রার্থী হওয়াটা একজন নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। কে বড় কে ছোট এটি মুখ্য নয়।