কানাডার কুইবেকের আদালতে করা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি মামালার শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে এ সপ্তাহে। নাগরিক অধিকার
রক্ষা কমিটিগুলো বলেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করে আইন তৈরি, দেশটির সংবিধান লঙ্ঘন।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিম (এনসিসিএম), দ্য কানাডিয়ান সিভিল লিবারটিস অ্যাসোসিয়েশন (সিসিএলএ) এবং ইশরাক নৌরেল হক নামে একজন মুসলিম নারী বিল ২১ নামের আইনটির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সোমবার (২ নভেম্বর) কুইবেকের সর্বোচ্চ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা।
২০১৯ সালে আইনটি পাস করা হয়। যাতে শিক্ষক, আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের জন্য ধর্মীয় পোশাক পরিধান নি;ষি;দ্ধ করা হয়। নি;ষি;দ্ধের তালিকায় মুসলিম নারী;দের জন্য হিজাব, ইহুদি পু;রু;ষদের কিপ্পা এবং শি;খদের ;মাথায় পরার পা;গড়ি রয়েছে।
আইনের বি;রু;দ্ধে মামলাকারীদের বক্তব্য, সরকারের এ আইন বৈষম্যমূলক। এ আইন সং;খ্যালঘু;দের কানাডায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করবে।
এনসিসিএম’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তফা ফারুক জানান, শুধু ধর্মীয় পোশাক এবং বিশ্বাসের কারণে সাধারণ মানুষকে চাকরি হারাতে হয়েছে।
বলেন, মানুষকে প্রদেশে ছেড়ে চলে যেতে হবে। তাদের আ;ত্মপরিচয় পরিবর্তন করতে হবে। এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে বিল ২১’র বি;রু;দ্ধে আমরাদের ল;ড়াই কখনোই বন্ধ করব না।
;
মন্ট্রিয়ালে বাস করেন মুসলিম আইনজীবী নৌর ফারহাত। তিনি হিজার পড়েন। অনেক মুসলিম নারী হিজাবকে ধর্ম পালনের অংশ বলে বিশ্বাস করেন। গত বছর যখন বিল ২১ পাস হয় তখন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছিলেন।
হিজার পড়ে সরকারি চাকরি করতে পারবেন না বিধায় বাধ্য হয়ে তিনি এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছেন।
বিল ২১’র কারণে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি, মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বড় বিচার প্রক্রিয়ার সাক্ষী হতে যাচ্ছি আমরা, এ কথা বলেন ফারহাত।