আইসিসি’র এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কাল থেকেই মুক্ত হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। অর্থাৎ আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে আর বাধা থাকবে না এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় গত বছর অক্টোবর মাসেই সব ধরনের ক্রিকেটে সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এ শাস্তি দেয়া হয়। এ শাস্তি মেনেও নেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই ক্রিকেটার। একদিন পর ক্রিকেটে ফিরলেও ভবিষ্যতে যদি একই ধরনের অপরাধ করেন তা হলে সাকিবের এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
গত বছর হঠাৎ করেই সাকিবের নিষেধাজ্ঞার খবরটি এসেছিল। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত সফর ও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। গত বিপিএলেও খেলতে পারেননি বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার।
এদিকে করোনাভাইরাসেরজনিত পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ বেশ কিছু সিরিজ স্থগিত হয়েছে। তাই তেমন বেশি ক্রিকেট মিস করতে হয়নি সাকিবকে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার।
এজন্য করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে এসে বিকেএসপির মাঠে নিবিড় অনুশীলনও করেন বাংলাদেশের বিশ্ব তারকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা সফর আপাতত স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে যান সাকিব। অবশ্য সেখানে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হয়েই আগামী মাসেই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে আবারো ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করবেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। পাঁচ দলের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করবে বিসিবি। আগামী নভেম্বরের ১৫ তারিখ টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করেছে বোর্ড।
এদিকে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, তাদের আয়োজিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ সাকিব। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব খেলা শুরুর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।