কাউন্সিলর পদ থেকে বর’খা’স্ত হচ্ছেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। নৌবা’হিনীর একজন কর্মকর্তাকে মা’রধ’র এবং বাড়ি তল্লাশির পর র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদা’লত কা’রাদ’ণ্ড দেয়ায় ইরফান বরখাস্ত হচ্ছেন বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানা গেছে।
ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে রিপোর্ট (দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে) পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এটা তো আইনে কাভার করে। তিনি (ইরফান সেলিম) সাময়িক বরখাস্ত হবেন।’
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আইনে (স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন) বলা হয়েছে, কেউ সাজা প্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।’
গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবা’হিনীর এক কর্মকর্তাকে মা’রধ’র করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রো’ববার রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে ইরফানসহ সাতজনের বি’রু’দ্ধে মা’মলা করা হয়।
সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রে’ফতার করে র্যাব। এদিন পুরান ঢাকার তার বাসায় অভি’যানও পরিচালনা করা হয়। অভি’যানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অ’স্ত্রস’হ একটি পি’স্তল, একটি একনলা ব’ন্দুক, একটি ব্রি’ফকেস, একটি হ্যা’ন্ডকাফ, একটি ড্রো’ন এবং সাত বোতল বি’দেশি ম’দ ও বি’য়া’র উ’দ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনু’মোদনহীন ওয়া’কি’টকি রাখায় কাউ’ন্সিলর ইর’ফান সেলিম ও তার ব’ডিগার্ড মো’হাম্মদ জা’হিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রা’ম্যমাণ আ’দালত। রাতেই তাদের কে’রানীগ’ঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কা’রাগা’রে পাঠানো হয়েছে।
এ’দিকে ইরফান সেলিমের ব্য’ক্তিগ’ত ক’র্মক’র্তা এবি সিদ্দিকী দিপুকে গ্রে’ফতার করেছে ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পু’লিশ (ডিবি)। সোমবার (২৭ অ’ক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডি’এমপির রমনা গো’য়েন্দা বি’ভাগের এ’কটি দল টা’ঙ্গাইল থেকে তাকে গ্রে’ফতার করে।