দেশ ছেড়ে জীবিকার তাড়নায় এখন অসংখ্য বাংলাদেশী ছোটেন বিদেশে। কিন্তু দেশে রেখে যান নিজের আপন জনদের। তবে অনেকে দুর্ভাগার কপালে এমন প্রতারনার শিকার হতে হয় যাতে খোয়াতে হয় সব কিছু।
দুবাই প্রবাসী আলম আলী শাহ’র সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয় নুরজাহান আক্তার মিতার। বিয়ের কিছুদিন পর ফের কর্মস্থল দুবাইয়ে চলে যান আলম আলী শাহ।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি করেন বিগত মঙ্গলবার রাতে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে যান মিতা। এরপর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না তার কোনো হদিস।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার তার ভাসুর মো. আক্কাছ আলী শাহ বাদী হয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।ডায়েরি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের দক্ষিণ রাউৎগাঁও (ফকিরপাড়া) গ্রামের মৃ;ত ইয়াকুব আলী শাহ্’র ছেলে দুবাই প্রবাসী
আলম আলী শাহ’র সঙ্গে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যুথিষ্টিপুর গ্রামের মাওলানা মো. নুরুল ইসলামের কন্যা নুরজাহান আক্তার মিতার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী কর্মস্থল দুবাইয়ে চলে যান।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নুরজাহান আক্তার কাউকে কিছু না জানিয়ে তার ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, প্রবাসী আলমের বড় ভাই মো. আক্কাছ আলীর স্ত্রী
হাছনা বেগমের ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আলেমা মারিয়ার ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা ও ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ নুরজাহান আক্তার মিতার মা সুফিয়া বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেউ তার সন্ধান পেলে কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ করছি।
কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান প্রবাসীর স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণ ডায়েরি পেয়েছি। পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করছি দ্রুত নিখোঁজ নুরজাহান আক্তার মিতার সন্ধান পাওয়া যাবে।