ঈদের আগে বাড়ল ১০ পণ্যের দাম

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চাহিদা কমায় মুরগির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও চলতি সপ্তাহে ডিমের দাম আরো বেড়েছে। হালিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। এ ছাড়া পেঁয়াজ, মরিচ, হলুদ, আদাসহ আরো ১০ পণ্যের দাম বেড়েছে। চাল-ডাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। কিছুটা কমেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম চলতি সপ্তাহে কেজিতে আরো পাঁচ টাকা কমে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ফার্মের ডিমের দাম হালিতে এক থেকে দুই টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন কিনলে ১০৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা শুকনা মরিচ, হলুদ, দারচিনি, লবঙ্গ, ধনে, তেজপাতা ও আদার বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ, মরিচ, ছোলা ও মসলাজাতীয় কয়েকটি পণ্যসহ মোট ১৮টি পণ্যের দামে পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টির দামই বেড়েছে। কমেছে সয়াবিন তেল, জিরা, এলাচসহ পাঁচটি পণ্যের দাম।

শুকনা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় এবং আমদানি করা মরিচ ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়। হলুদেও বেড়েছে ২০ টাকা। দেশি হলুদের কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ এবং আমদানি করা হলুদের কেজি ১৫০ থেকে ২২০ টাকা। সব ধরনের আদা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দারচিনি কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, লবঙ্গ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৮০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। তেজপাতা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে ছোলা কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছরই এসব পণ্যের চাহিদা ও দাম অনেক বেশি থাকে। এ বছরও বেড়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে বেশ কম। আর করোনা সংকটের এই সময়ে বাজার অসহনীয় মাত্রায় যাওয়ার আশঙ্কাও তেমন একটা নেই।

মুগদা বাজারের মরিয়ম ট্রেডার্সের মালিক আল আমিন বলেন, এবার করোনা আর বন্যায় বাজার মন্দা। বিক্রি কম হওয়ায় কোরবানিতে চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যের দাম আগে থেকেই কম। এর মধ্যে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। সপ্তাহখানেক হয়তো থাকবে।