আর কিছুদিন পরই কোরবানির ঈদ। আর কো’রবা’নির ঈদ মানেই গরু বা খাসি কো’রবা’নি দেয়া। আর নানাভাবে এর মাংস রান্না করে খাওয়া। শুধু যে গরু বা খাসির মাংসই সুস্বাদু তা কিন্তু নয়। গরু বা খাসির ভুঁড়ি খেতেও দারুণ মজা। খেতে সুস্বাদু হলেও এটা পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলা। আর এতে সময়ও লাগে অনেক। তাই বলে মজার এই খাবারটি থেকে সবাইকে বঞ্চিত করাটাও সম্ভব নয়। তাই জেনে নিন এমন এক কৌশল যা আপনার এই কঠিন কাজটিকে সহজ করে দেবে।
যা যা লাগবে|: চুন, হলুদ গুঁড়া, ধারালো ছুরি, বড় বালতি বা গামলা, বড় হাড়ি।
ভুঁড়ি পরিষ্কারের পদ্ধতি:
প্রথমেই ধারালো ছু’রি দিয়ে ভুঁ’ড়িটা দুইভাগ করে এর ভেতরের সব ময়লা বের করে নিন। এরপর গরম পানি দিয়ে ভুঁড়ির ভেতরটা ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার ভুঁ’ড়িটাকে বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন। বালতিতে শুকনো চুন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে টুকরো করা ভুঁড়িগুলোকে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এমনভাবে ভেজাতে হবে যেন চুনের পানিতে ভুঁড়িগুলো ডুবে থাকে।
৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পরে ভুঁড়ির টুকরোগুলোকে চুন মিশ্রিত পানি থেকে তুলে ছুরি বা চামচ দিয়ে ভালোভাবে চেঁছে নিন। এতে করে খুব সহজেই ভুঁড়ি থেকে কালো অংশটুকু উঠে ভুঁড়ি সাদা হয়ে যাবে। যদি দেখা যায় যে ময়লাগুলো যায়নি, তাহলে আরো ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুনের পানিতে ডুবিয়ে রাখলেই সহজে ময়লাগুলো তুলে ফেলা যাবে।
এবার একটা বড় পাতিলে পানি ফুটিয়ে এতে এক চা চামচ হলুদ গুঁ’ড়া মিশিয়ে টুকরো করা ভুঁ’ড়িগুলোকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। এতে করে ভুঁ’ড়িতে থাকা দু’র্গ’ন্ধ অনেকটাই কেটে যাবে। সিদ্ধ করা ভুঁ’ড়ির টুকরোগুলো গরম থাকতে থাকতেই আবারো ছুরি বা চামচ দিয়ে চেঁছে নিন। গরম অবস্থায় চাঁছলে ভুঁ’ড়ির পেছনে লেগে থাকা চর্বি আর পর্দাগুলো অনায়াসেই উঠে যাবে।
পরিষ্কার করা ভুঁ’ড়িগুলোকে ঠাণ্ডা হওয়ার পর ছোট ছোট টুকরো করে রান্নার উপযোগী বানিয়ে নিন। এবার প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এই পদ্ধতিতে রাখলে ভুঁ’ড়ি ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে।