করোনার পাশাপাশি বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক, প্রতিরোধে কী করবেন

গোটা বিশ্বের মতো দেশেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে বর্ষাকাল শুরুর সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে অনেকের মধ্যেও যোগ হয়েছে আতঙ্ক।

এই মহামারির মধ্যে সাধারণ একটু জ্বর হলেই মানুষ করোনার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। আর, যেহেতু ডেঙ্গুর উপসর্গের মতো কোভিড-১৯ এর উপসর্গ প্রায়ই এক, তাই একটু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলেই সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন । চিকিৎসকদের মতে, দুটি রোগের উপসর্গের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য আছে। এতে ধারনা করা যায় কোনটি ডেঙ্গু আর কোনটি করোনা।

ডেঙ্গুর উপসর্গ –

১. উচ্চ তাপমাত্রাযুক্ত জ্বর

২. গা, হাত, পা অসহ্য ব্যথা ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা

৩. গায়ে র‍্যাশ

৪. অসহ্য মাথা ও চোখের আশেপাশে ব্যাথা

৫. বমি বমি ভাব, আবার মাঝেমধ্যেই বমি হয়ে যাওয়া

৬. পেটে তীব্র য্ন্ত্রণা

৭. মুখের স্বাদ হারিয়ে ফেলা ও খিদে না পাওয়া

৮. দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া

৯. গলা ব্যথা ও ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া

অন্যদিকে করোনা হলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়-

১. জ্বর

২. শুকনো কাশি

৩. শারীরিক দুর্বলতা

৪. গলা ব্যথা

এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ আছে যা তুলনামুলকভাবে কম দেখা যায়। যেমন-

১. পা, হাত ও শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা

২. পেট খারাপ

৩. মাথার যন্ত্রণা

৪. স্বাদ ও ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলা

৫. ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া

৬. পায়ের আঙ্গুলে লালচেভাব জন্ম নেওয়া

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ক্ষেত্রে গুরুতর দুটি লক্ষণ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট ও বুকে অসহ্য ব্যথা হওয়া।

সাধিারণত ভাইরাসের এই সব উপসর্গ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দিন থেকে মাত্র ৫ দিনের মাথায় দেখা দেয়। কখনও কখনও লক্ষণ দেখা দিতে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্তও সময় নেয়।

ডেঙ্গু ও করোনাকে প্রতিরোধ করতে কী করবেন-

১. জ্বর দেখে ডেঙ্গু বা করোনা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তাই, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি করোনার ক্ষেত্রে সোয়াব টেস্ট করতে হবে।

২. সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৩. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

৪. করোনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। হাত ধোওয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি মাস্ক পরতে হবে।

৫. ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না সেই সঙ্গে চারিদিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ব্লিচিং পাউডার অথবা অ্যান্টি-লার্ভাল স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।

৬. ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারি খাটিয়ে ঘুমাতে হবে। ফুল স্লিভ জামা কাপড় পরতে হবে।

৭. ডেঙ্গু বা করোনার যে কোনও লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।