নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বাসা-বাড়ির গ্রাহকরা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল কোনো ধরনের জরিমানা ছাড়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারবেন। এরপর জরিমানা গুনতে হবে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এ পরিস্থিতিতে জরিমানার বিষয়টি আরো বাড়ানো হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘এটা আর মোটেও বাড়বে না। কারণ আমরা মনে করি, এখন ধীরে ধীরে (আমরা) স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছি। এটা বাড়ালে আবার আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। সুতরাং, এ সময় সবার পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) দরকার।’
এ সময় নসরুল হামিদ আরো বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে হবে। এরপর একদিন পার হলেই সারচার্জ দেওয়া লাগবে।
এ সময় দেশব্যাপী বিদ্যুতের ভৌতিক বিলের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিতরণ কোম্পানিগুলো এটা সমন্বয় না করলে আমার বরাবর আবেদন করলেই হবে। আমি সব কোম্পানিকেই এগুলো সমন্বয় করতে বলেছি। গ্রাহক যাতে সন্তুষ্ট হয় সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রীর কাছে আবেদন করা কতটুকু সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা জাস্ট বললাম। সবাই নিজের এলাকায় আবেদন করবে। তারপরও যদি কেউ প্রতিকার না পায় তাহলে তাদের আমার কাছে আবেদন করতে বলা হচ্ছে।
এর আগে গত মার্চ মাসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উপসচিব আইরিন পারভীনের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয় করোনাভাইরাসের কারণে আবাসিক গ্রাহকরা ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল জরিমানা ছাড়া দিতে পারবেন।