রক্তের গ্রুপের সঙ্গে করোনার যোগসূত্র, যে গ্রুপের ব্যক্তিদের ঝুঁ’কি সবচেয়ে বেশি

রক্তের গ্রুপের সঙ্গে করোনা ভাইরাস সং’ক্র’মণের যোগসূত্রের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জেনেটিক টেস্টিং জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ২৩ অ্যান্ডমি। সার্স-কভ-২ ভাইরাস সং’ক্র’মণের সঙ্গে মানুষের জেনেটিক ফ্যাক্টর জড়িত কিনা তা নিয়ে গবেষণা করছিল এই বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। কয়েক লাখ কোভিড পজিটিভ রোগীর ডিএনএ ডাটাবেজ বানিয়েছে এই কোম্পানি।

করোনা আক্রা’ন্ত রোগীদের জিনের গঠন বিন্যা’স বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি জানিয়েছে, জিন এবং রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ভাইরাসের সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এখবর জানিয়েছে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, সং’ক্র’মণ কতটা ছড়াবে বা কোন ব্যক্তির শরীরে ছড়াবে সেটা নাকি অনেকটাই নির্ভর করে এই রক্তের গ্রুপের উপরে।

সাড়ে সাত লাখ কোভিড রোগীর ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ‘ও’ রক্তের গ্রুপ যাদের আছে, তাদের মধ্যে করোনা সং’ক্র’মণ ছড়াবার ঝুঁ’কি কম। আর ‘এ’ রক্তের গ্রুপ যাদের, তাদের ক্ষেত্রে সং’ক্র’মণের ঝুঁ’কি অনেকটাই বেশি। বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘এ’ গ্রুপের মধ্যেই নাকি করোনার সং’ক্র’মণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। তুলনামূলকভাবে ‘ও’ গ্রুপ অনেকটাই সুর’ক্ষিত। তবে ‘বি’ গ্রুপের ক্ষেত্রে এই ঝুঁ’কির মাত্রা কেমন, বিজ্ঞানীরা সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানাননি।

২৩ অ্যান্ডমি’র গবেষকরা দাবি করেছেন, স্পেন ও ইতালির ১৬০০ জন কোভিড পজিটিভ রোগী যারা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটারি সিন্ড্রোমে আক্রা’ন্ত হয়েছিল, তাদের রক্তের গ্রুপ ছিল ‘এ’। এমনকি দেখা গেছে যে, এই রক্তের গ্রুপের রোগীদের ৫০ শতাংশকেই ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিতে হয়েছিল। গবেষক অ্যাডাম অটন দাবি করেছেন, ‘ও’ গ্রুপের মধ্যে সং’ক্র’মণের হার অন্য গ্রুপের তুলনায় কম দেখা গেছে।

সম্প্রতি জার্মানির কিয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেছেন, যাদের ব্লাড গ্রুপ ‘এ’, তাদের মধ্যে করোনায় আক্রা’ন্ত হওয়ার ঝুঁ’কি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়সের করোনা আক্রা’ন্ত এবং একই সঙ্গে করোনা হয়নি এমন ২,২০৫ জনের ডিএনএ-র গঠন ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা।

জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘এ’ গ্রুপের রক্তে যেমন এই ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হওয়ার ঝুঁ’কি বেশি, তেমনই ‘এ’ গ্রুপের রক্তের ক্ষেত্রে এই ঝুঁ’কিটা অনেকটাই কম। অর্থাৎ, যাদের শরীরে ‘এ’ গ্রুপের রক্ত, তাদের এই মারণ ভাইরাসে আক্রা’ন্ত হওয়ার ঝুঁ’কি অনেকটাই কম।