প্রসাধনীর ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি: গবেষণা

বর্তমান সময়ে প্রসাধনীর প্রতি নারীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে খুব একটা বিশ্বাসী নয়। এখন বেশিরভাগ নারী মেকআপনির্ভর।

তবে নারীদের এই আগ্রহ পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। প্রসাধনী শিল্প বর্তমানে কত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কেন প্রসাধনীগুলো পুনর্ব্যবহার উপযোগী হচ্ছে না?

স্যানফ্রান্সিকোয় ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের একটি প্রচারণা গ্রুপের সদস্য শিল্পী চোত্রি এবং বাস্তুসংস্থান বিশেষজ্ঞ মার্টিন বোরকিউ’র এ বিষয়ে বিবিসিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে।

১৯৫০ সালের পর থেকে বিশ্বের মোট প্লাস্টিকের মাত্র ৯ শতাংশ পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বেশিরভাগ অংশটি হয় মাটিতে গিয়ে পড়েছে অথবা সমুদ্রে ঠাঁই হয়েছে। এ ছাড়ায দক্ষিণ এশিয়ার মতো অনেক দেশে সেগুলো খালাস করে ফেলা হচ্ছে বলে বলছেন শিল্পী।

শিল্পী একটি ভিডিও তুলে ধরে দেখান, ইন্দোনেশিয়ায় প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে সেখানে ক্যান্সার ও ফুসফুসের রোগের জটিলতাও বাড়ছে।

মার্টিন বলছেন, অনেক প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করা হয় প্লাস্টিকের এমন সামগ্রী দিয়ে, যা পুনরায় ব্যবহার করা যায় না। এখানে রঙের ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাজ্যে পুনর্ব্যবহারবিষয়ক দাতব্য সংস্থা রিকুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টুয়ার্ট ফস্টার বলেন, ছোট ছোট আকৃতির লিপস্টিক, ঠোঁট উজ্জ্বল করার সরঞ্জাম এবং ছোট ছোট বোতলগুলো অন্যান্য প্লাস্টিকের বোতল, পট, টাব বা ট্রের সঙ্গে আলাদা হয় না।

এসব দ্রব্য পুনরায় প্রক্রিয়া করা সম্ভব হয় না। তাই সেগুলোর ঠাঁই হয় মাটিতে অথবা পানিতে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। স্টুয়ার্ট বলছেন, প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং জরিও সমস্যা তৈরি করে। কারণ সেগুলোর পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাওয়া থেকে ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।

২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের একটি ব্র্যান্ড কোম্পানি রিফিলযোগ্য লিপস্টিক চালু করে, যাতে প্লাস্টিক বর্জ্য কমে যায়। স্টুয়ার্ট বলছেন, তাদের নিজেদের স্বার্থে পুনর্ব্যবহার উপযোগী পণ্যের দিকে বেশি নজর দেয়া উচিত।