বংশগত কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হলেও তা সহজেই প্রতিরোধ করতে পারেন। আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলের দিকে বিশেষ নজর দিন।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে ময়দা, চিনি, ফলের রস, ভাত, পাস্তা, নুডলস, চকোলেট ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে ব্রাউন রাইস, হোলহুইট পাউরুটি, জোয়ার ও বাজরার তৈরি চাপাতি খাওয়া শুরু করুন। গোটা ফল এবং সবজির রস খেতে পারেন। সাধারণ দুধের পরিবর্তে সয়া মিল্ক, লো-ফ্যাট মিল্ক বা টকদই খেতে পারেন। কাঁচা এবং সিদ্ধ সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। যারা আমিষাশী, তারা ডিম, মাছ ও চিকেন খেতে পারেন।
সপ্তাহে ৪-৫ দিন ৩০-৪০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটা অভ্যাস করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। এর পাশাপাশি স্ট্রেসও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্ট্রেস মানসিক বিষয় হলেও শারীরিক অবস্থার উপর এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস কোলেস্টেরল লেভেল বাড়িয়ে তুলতে পারে যা থেকে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সবসময় মনে রাখবেন, শুধুমাত্র হজমপ্রক্রিয়া এবং ক্যালরি বার্ন করার উপরই যে আপনার ওজন এবং শারীরিক অবস্থা নির্ভর করছে, তা নয়। চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ ইত্যাদিও শরীরের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। সুতরাং খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি সেদিকেও নজর রাখুন। বাজরা, রাগি, ওটস- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার। এই সমস্ত শস্য বেশি করে খেতে পারেন।
স্পট রিডাকশন এক প্রকারের মিথ। আমাদের শরীরের গঠন অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের জিনের ওপর। এক্সারসাইজ করলে হয়তো আপনার শরীরের নির্দিষ্ট অংশের পেশি টোনড হবে। তবে ত্বকের নিচে থাকা ফ্যাটের স্তরে কোনো পরিবর্তন হবে না, যদি না সামগ্রিকভাবে আপনার শরীরের ফ্যাট কমে। আপনি যদি মোটামুটি ১০-১২ কেজি ওজন কমাতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের বাকি অংশের তুলনায় হয়তো তা ভারী দেখাতে পারে। যেমন, যদি আপনার শরীরের নিম্নাংশ ঊর্ধ্বাংশের তুলনায় ভারী হয়, সেক্ষেত্রে ওজন কমালে হয়তো শরীরের নিম্নাংশের মেদ কমবে, তবে ঊর্ধ্বাংশের তুলনায় তা ভারীই থাকবে। সুতরাং স্পট রিডাকশনের পথে না হেঁটে কোনো সঠিক এবং সেনসিবল ওয়েট লস প্রোগ্রাম বাছুন। এতে শরীরের চর্বিও কমবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।