পুরুষদের যেসব গুণে দুর্বল হয় নারীরা

একজন পুরুষকে চয়েজ করার ক্ষেত্রে সব নারীদের পছন্দ একই রকম হবে। পছন্দ-অপছন্দ অবশ্যই নারীদের আছে তবে সেটা একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু পুরুষালি গুণ নারীকে আকর্ষণ করে, পুরুষের প্রতি দুর্বল করে তোলে।
তা সব সময় উচ্চতা, গায়ের রং বা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের মাঝে আরও বিশেষ কিছু খোঁজেন তাঁরা। বিষয়টা পুরোপুরিই মনো-দৈহিক। শরীর তো আছেই, সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে আবেগ-অনুভূতিও।

হাসি : ছেলেদের বশ করার প্রধান অস্ত্র হলো হাসি। ওই হাসিতেই অর্ধেক জন ফ্ল্যাট। তবে অনেকের মিষ্টি হাসিতেও লুকিয়ে থাকে দাম্ভিকতা। তবে হাসিই তো… তা সবসময় যে দেঁতো হবে এমনটা নয়।

সবার সঙ্গে খুব সহজে মিশে যেতে পারে : কিছু মেয়ে থাকেন যাঁরা খুব সহজেই সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারেন। রাস্তা হোক বা বাসের সহযাত্রী আলাপ জমাতে এদের দুই মিনিটের বেশি লাগে না। এরকম মেয়েদেরও ছেলেরা খুবই পছন্দ করেন।

ব্যালেন্স করে চলার ক্ষমতা রাখেন যারা : জীবনে এই ভালো-মন্দ ব্যালান্স করে চলাটা খুব জরুরি। সবসময় কারোর ভুল নয়, ভালো অভ্যেসেরও বাহবা দিতে হয়। তা সিনেমা, ব্যক্তি যে কোনও কিছু নিয়েই হতে পারে। এরকম মানসিকতা য়ে মেয়েদের তাদের প্রতি ছেলেরা খুব সহজেই আসক্ত হয়।

শুধু নিজেদের নিয়েই কথা নয় : শুধুই নিজের চাকরি, জীবন, পরিবার নিয়ে কথা নয়। সবার ভালোমন্দ থেকে শুরু করে সমাজ-রাজনীতি এবং অর্থনীতি এই সব বিষয়েই যাঁরা কথা বলতে স্বচ্ছন্দ্য তাঁদের প্রতি ছেলেরা তাড়াতাড়ি প্রেমে পড়েন।

জনপ্রিয় : খ্যাতি কে না চায়? সব সময় একেবারে জনপ্রিয় তারকা হতে হবে, এরকম কোনও ব্যাপার নয়। তবে যে সব ছেলেরা সামাজিক ভাবে বেশ জনপ্রিয় বা কোনও একটি বিষয়ে বেশ পারদর্শী ও খ্যাত, সেই সব পুরুষরা মেয়েদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।

বেশি বয়সী পুরুষকে পছন্দ নারীর : নারীরা সাধারণত নিজের চেয়ে বেশি বয়সী পুরুষকে পছন্দ করে থাকে। কারণ সেসব পুরুষ পর্যাপ্ত অর্থ উপার্জন করেছেন বলে মনে হয় তাদের কাছে। এটাকে গবেষকরা ‘জর্জ ক্লুনি ইফেক্ট’ নাম দিয়েছেন। হলিউডের এই ষাটোর্ধ অভিনেতা নিজের চেয়ে অর্ধেক কম বয়সী মেয়ের সাথে প্রেম-বিয়ে করেছেন বলে গবেষকরা এ নাম দিয়েছেন!

ফিটফাট : নারীরা দীর্ঘদেহী পুরুষ পছন্দ করেন বটে, তবে উচ্চতাই শেষ কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। আসল বিষয় হলো নারী বুঝতে চায় আপনি নিজের যত্ন নিতে, ফিটফাট থাকতে পারছেন কি না। তাঁরা ভাবেন, যে পুরুষ নিজের দেখভাল করতে পারেন না, তিনি আমার দেখভাল করবেন কী করে?

নিঃস্বার্থ পুরুষকে পছন্দ নারীরা : সুদর্শন পুরুষ বেশিরভাগ সময়ই নিজেকে নিয়ে সচেতন ও অহংকারী হয়ে থাকে। সেটা অনেক সময় এত চূড়াতে থাকে সেখান থেকে একটু নেমে আসার মতো ইগো ক্ষয় হয়ে উঠে না।

কিন্তু নারী চায় পুরুষ তার কাছে নমনীয় থাকুক, তাকে গুরুত্ব দিক, স্রেফ নিজের ইগোকে নয়! যে পুরুষ ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান করে, দাতব্য সংস্থায় কাজ করে তাদেরকে নারীরা খুবই পছন্দ করে। তারা মনে করে সেসব পুরুষের ইগো খানিকটা কম। সে শুধু নিজেকে গুরুত্ব দেয় না, অন্যকেও গুরুত্ব দেয়।

উচ্চতা ও চুলের বাহার : খুব লম্বা না হলেও, বেশির ভাগ মেয়েই তাঁর থেকে বেঁটে পুরুষকে পছন্দ করেন না। একই সঙ্গে মাথায় টাক থাকলে তো বাতিলের খাতায় প্রথমেই নাম থাকবে। প্রথম দর্শনে এই দু’টি বিষয় প্রত্যেক মহিলাই লক্ষ করে।

যত্নশীল ও দায়িত্ব সচেতন : বেশির ভাগ নারীর কাছেই আদর্শ পুরুষ হন, তাঁর বাবা। কারণ বাবার যত্নশীল ছায়াতেই বড় হয়ে ওঠা। তাই কোনও পুরুষের সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে প্রথমেই তাঁর মধ্যে নিজের বাবার মতো একজন দায়িত্বশীল ও যত্নবান পুরুষকে খোঁজে সব নারীই।

এক নারীতেই মন : যে সব ছেলেদের প্রচুর নারী বন্ধু, তাদেরকে সাধারণত জীবনসঙ্গী করার ক্ষেত্রে এড়িয়েই যান নারীরা। আসলে বেশির ভাগ নারীই চান, তাঁর সঙ্গী তাঁর প্রতিই মজে থাকবে। অন্য কোনও নারীকে মনে জায়গা দেবেন না।

রসবোধ : যে পুরুষের সেন্স অব হিউমার বা রসবোধ নেই তার দিকে সাধারণত আকৃষ্ট হয় না নারীরা। এই রসবোধকে বুদ্ধিমত্তার নিদর্শন হিসেবে মনে করে নারীরা!