আপনার কণ্ঠস্বর কী আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের তুলনায় ভাল? খুব আকর্ষণীয়? তাহলে আর সঙ্গিনী নিয়ে চিন্তা করবেন না। কারণ কেবলমাত্র কণ্ঠস্বরেই একজন পুরুষের প্রেমে পড়ে যেতে পারেন নারীরা। ওই কণ্ঠস্বরই তাঁদের মনে আপনার জন্য জাগাতে পারে কামনা-বাসনা। এমনকি সুকণ্ঠের অধিকারী পুরুষের সঙ্গে অবধারিতভাবে তীব্র মিলনের ইচ্ছাও হয় তাঁদের মনে মনে। সময় সুযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োগের ক্ষেত্রে অপেক্ষা করেন না বর্তমানের যৌবনবতীরা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই জানাচ্ছেন অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী সিন্ডি এম মেস্টন ও ডেভিড এম বাস।
দিনকয়েক আগে লেখা বইয়ে তাঁদের আবরণচ্যুত করেছেন নারীর ইচ্ছের সেই সব গোপন দিক। জানিয়েছেন, ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতি-বয়স-শিক্ষাগত যোগ্যতা-কণ্ঠস্বর-চেহারা সবকিছু মনের মতো হলেই আধুনিক ও শিক্ষিতা নারীরা স্বেচ্ছায় আগ্রহী হন শারীরিক মিলনে। তবে নানারকম দুষ্টুবুদ্ধিও খেলা করে বেড়ায় তাঁদের মনে।
দীর্ঘ গবেষণায় সিন্ডি ও ডেভিড জেনেছেন, পুরুষের কণ্ঠস্বর, তাঁদের শরীরের ঘ্রাণ, চলাফেরার ধরন, মুখের গড়ন, ব্যক্তিত্ব ও রসবোধের ধরন অনুযায়ী যৌনমিলনের আগ্রহ তৈরি হয় মহিলাদের। বিশেষ করে পুরুষের কণ্ঠস্বর নারীর যৌন চাহিদাকে আরও বেশি করে উসকে দেয়। “হোয়াই উইম্যান হ্যাভ সেক্স” বইতে এ কথা জানিয়েছেন এই দুই লেখক। বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না! ইচ্ছে, আকাঙ্খা, কামনা-বাসনা, সবই থাকে অবদমিত। জাগালে জাগে, না হলে নয়। সমাজ যতই এগিয়ে যাক, পুরুষের কাছে, সমাজের কাছে নারীর ব্যাখ্যা বরাবর এরকমই।
কিন্তু, গবেষণা সে কথা বলছে না। গবেষণা জানাচ্ছে, আধুনিক নারী অনেক বেশি বেপরোয়া। যৌন মিলনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজের চাহিদার কথা মুখ ফুটে বলতেই পছন্দ করেন তাঁরা।
লন্ডনের একটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্রিস্টেন মার্ক বলেন, প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, যৌনতার চাহিদা পুরুষের কাছে যতটা, মহিলাদের কাছে ততটা নয়। হলেও তার বহিঃপ্রকাশ কম। অবশ্য সবার জন্য একথা বলা যাবে না। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক নারীরা অনেক বেশি খোলামেলা হয়েছেন। এখন নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা প্রকাশ করা নারীর কাছেও অনেকটা সহজ।
তবে, মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্কে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্তও রয়েছে, নারীরা আবেগপ্রবণ হওয়ায় যৌনতার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিক্রিয়া শারীরিক হয় না সবসময়। কিন্তু সমীক্ষা করে দেখা গেছে, যৌনতার আগ্রহে কিন্তু সত্যিই নারীরা কম যান না। যৌনতায় পারদর্শিতার ক্ষেত্রে যতটা মনে করা হয় নারীরা তার চেয়ে বেশি আগ্রহী। এমনকি মিলনের সময় সঙ্গীর চেয়ে নিজে বেপরোয়া হয়ে উঠতেই চায় আধুনিক নারী। দীর্ঘদিনের যৌনমিলনের অভ্যাস আরও বেশি মোহময়ী করে তোলে নারীদের।