মায়ের কাছ থেকে জোড়পূর্বক তার জমি লিখে নিয়ে তা বিক্রি করে নিজ বাড়িতে দোতলা বিল্ডিং গড়ে স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকেন ছেলে। আর বৃদ্ধা মাকে রেখেছে বাইরে টিনের ছাপড়া দিয়ে কাঠের মাচার পরিত্যক্ত ঘরে।
ছেলের বিল্ডিংয়ে ঠাঁই না পাওয়া বৃদ্ধা মায়ের নেই কোন চিকিৎসা ও যত্নাদিও। অবশেষে সেই ইউনুসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইউনুস গ্রেফতার হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে।
স্থানীয় ও সরেজমিন গেলে এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে জমি দখল, রেকর্ড করানোর জন্য টাকা নেয়া, স্থানীয়দের প্রশাসন দিয়ে হয়রানি, প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ অনেক অপকর্ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগও করেছে।
জানা গেছে, খাজুরিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মুজাফর মিয়ার কাছ থেকে তার বাড়ির মধ্যে জায়গা রয়েছে দাবী করে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে ইউনুস মিয়া ওরফে লেসু। এছাড়া আমজেদ মিয়ার ৮০ হাজার টাকা, জহুরা বেগম ও মাহবুবকে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি ও একই এলাকার হান্নান ফকিরের মুদির দোকান চুরির ঘটনায় প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদার তাকে মারধর করলে সে এলাকা ছেড়ে ঢাকা যায়।
কয়েক বছর পর এলাকায় এসে তার কয়েক অনুসারী নিয়ে শুরু করে ভূমিদস্যুতা, জাল জালিয়াতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ভূমি জরিপ এর সময় দরিদ্র লোকজনের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় সরেজমিনে গেলে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ এসব অভিযোগ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আ.কাদের, খালেক ফকির, মজিবুর রহমান মিয়া, তরিকুল ইসলাম, হায়াতুন বিবি, জহুরা বেগম, ইসাকুল ইসলাম, রুহুল আমিন দুলাল, আ. রহিম মিয়া, আবু কাদের, শাহজাহান মিয়া, তোতা মিয়া, কালাম, জসীম মিয়া, আলতাব মিয়া, সামছুল হক প্রমুখ।