বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটের দাম

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে যেসকল পণ্যের দাম বাড়ছে তার মধ্যে অন্যতম বিড়ি ও সিগারেট। বিশ্বব্যাপী ধূমপানবিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান, তামাকজাত পণ্যের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় এর ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে এ দাম বাড়ানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বেলা ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে এক পর্যায়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। বক্তৃতার সময় পাঁচ মিনিটের ব্রেক নিয়ে চোখে ড্রপ দেন অর্থমন্ত্রী। এসময় তার কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে বাজেট পেশ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উত্থাপিত বাজেটে বলা হয়, সিগারেটের নিম্ন স্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৭ টাকা, সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ, মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ। ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৭ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর বিড়ি-সিগারেটের মতো ভয়াবহ একটি পণ্য হচ্ছে, জর্দা ও গুল। এগুলোর ব্যবহারে শরীরের ওপরে বিরূপ প্রভাবও বেশি। তাই এর ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।