আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: দুই বোন আলাদা হয়ে গিয়েছিল ৩২ বছর আগে। কেউই কারো কথা জানত না। একজন সুন্দর পরিবেশে বড় হয়েছিল। আরেকজন বেড়ে উঠেছিল দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে। একজন বিয়ে করে সুখেই সংসার করছিল। অপরজনের দিন কাটছিল যৌনপল্লিতে।
তবে সৃষ্টিকর্তা বোধহয় তাঁদের কপালে অন্য কিছুই লিখেছিলেন। আর তাই তো দীর্ঘ ৩২ বছর পর ফের দুই বোনের মিলন হল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ভারতের পুণের ‘শ্রীবাস্তব’ নামে একটি শিশুদের হোম থেকে নেহা নামে এক মেয়েকে দত্তক নেয় সুইডেনের হোমগ্রীন পরিবার। তখন নেহার বয়স ছিল মাত্র ১৪ মাস। আর তাই নিজের ছোট বোনের কথা কখনই জানতে পারেননি তিনি। এরপর হোমগ্রীন পরিবারেই বড় হতে থাকেন নেহা।
পরবর্তীতে বিয়েও করে ফেলেন। কিন্তু দশ বছর আগে সুইডেনে অনুষ্ঠিত অনাথ শিশুদের একটি অনুষ্ঠানে নিজের আসল মা-বাবার কথা জানতে পারেন নেহা। এরপর স্বামীকে সব খুলে বলেন। স্বামীর সাহায্যে নিজের পুরনো পরিবারকে খোঁজার চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। এরপর প্রথমে পূর্ণিমা গোসাভি এবং পরে সীমা ওয়াঘমারে নামে দুই মহিলার সাহায্যে নিজের পুরনো পরিবারের সন্ধান পান নেহা এবং তাঁর স্বামী। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
দেখা যায়, নেহার মা-বাবা কেউই আর বেঁচে নেই। তবে তাঁর এক ছোট বোন রয়েছে। কিন্তু অভাবের তাড়নায় পেট চালাতে যৌনকর্মীর কাজ করে সে। শেষপর্যন্ত অবশ্য বোনের সঙ্গে দেখা হয় নেহার। ৩২ বছর আলাদা থাকলেও ভবিষ্যতে দুই বোন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।