চার মাস আগে কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন স্বামী মাহমুদ হাসান সরকার (৪০)। অসহায় গৃহবধূ শরিফা আকতার দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে খুঁজে ফিরছেন স্বামী মাহমুদ হাসানকে। বুধবার বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কষ্টের কথা তুলে ধরে তার স্বামীকে ফিরে পেতে সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।শরিফা আকতার বক্তব্য দেয়ার সময় কাঁদছিলেন, সঙ্গে কাঁদছিল তার দেড় বছরের শিশু আফিয়া ফাইরোজ। পাশেই বাবার জন্য চোখের পানি মুছছিলো ৩য় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত আরেক মেয়ে মাহিশা মেহজাবিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অসহায় গৃহবধূ শরিফা আকতার বলেন, তার স্বামী মাহমুদ হাসান সরকার চলতি বছরের জানুয়ারীর ১০ তারিখে তার কর্মস্থল টাঙ্গাইলের গোরাই থানার কমপিস্ট টেক্সটাইল মিলে কাজে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে তার কর্মস্থলসহ সম্ভাব্য স্থানে পরিবারের পক্ষে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ মাহমুদ হাসান সরকারের বাবা মৃত আব্দুস সামাদ সরকার। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার রহলা গ্রামে তার বাড়ি। তাদের সংসার জীবনে ৩য় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত মাহিশা মেহজাবিন ও দেড় বছর বয়সের আফিয়া ফাইরোজ (নুজহাত) নামে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। নিখোঁজ মাহমুদের গ্রামের বাড়িতে একমাত্র বৃদ্ধা মাতা মাহফুজা বেগম ছাড়া আর কেউ নেই।
নিখোঁজের বিষয়ে শরিফা আকতার গত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তার জন্য কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। বর্তমানে সংসার জীবনে অসহায় হয়ে পড়েছেন শরিফা আকতার ও তার শাশুড়ি মাহফুজা বেগম। দুই মেয়েকে নিয়ে শরিফা বর্তমানে তার বাবার বাড়ি বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউপির চাঁদপুর (কুমার গাড়ীপাড়া) গ্রামে বসবাস করছেন।
শরিফা জানান, স্বামীর খোঁজে তিনি তার কর্মস্থল টাঙ্গাইলের গোরাই থানার কমপিস্ট টেক্সটাইল মিলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্বামীর ছবি দেখালে গেটের দারোয়ান জানান মাহমুদ হাসান সরকার তাদের মিলে আর কাজ করেন না। তাকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতেও দেয়া হয়নি।বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই একটা রেজাল্ট পাওয়া যাবে।সংবাদ সম্মেলনে শরিফা আকতারের দুই মেয়ে, শাশুড়ি, বাবা ও স্থানীয় বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম (নান্টু) উপস্থিত ছিলেন।