আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ছেলেদের পোশাকের দোকানগুলোতেই ভীড় কম থাকে না। তবে পোশাকের ব্যাপারে প্রত্যকে মুসলমানের একটু সচেতন হওয়া উচিৎ। কিন্তু আমরা হয়ত জানি বা না জেনে সিল্কের পোষাকের দিকে ঝুকি। কিন্তু জানেন কী? পুরুষের জন্য তো সিল্ক হারাম করা হয়েছে।
এই বিষয় আলী (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (সা.) আমাকে একজোড়া রেশমী কাপড় দিলেন । আমি তা পরিধান করলাম। তার মুখমণ্ডলে গোস্বার ভাব দেখতে পেয়ে আমি আমার মহিলাদের মাঝে তা ভাগ করে দিয়ে দিলাম। (বুখারি- ২৬১৪ ইঃফাঃ ২৪৩৯ আহমাদঃ ১১৭১)
অপর এক হাদিসে আলী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সা.) কে দেখেছি,তিনি ডান হাতে রেশম ধরলেন এবং বাম হাতে সোনা, অতঃপর বললেন, আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্তু হারাম। (আবু দাউদঃ ৪০৫৭, নাসায়িঃ ৫১৪৪, ইবন মাজাহঃ৩৫৯৫)
রসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে।
সহীহ বুখারীঃ ৫৫৯০ পুরুষদের জন্য হলুদ ও লাল জামা পরার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে । লাল ও হলুদ রঙ পুরুষদের জন্য এই কালারের পাঞ্জাবিও এড়িয়ে চলতে হবে ।
রসুলুল্লাহ( সা.) আলি (রা.) কে দুইটি হলুদ রঙয়ের কাপড় পরা অবস্থায় দেখলেন।
তিনি তখন বলেন, এই রঙ কাফেরদের জন্য, এই রঙের কাপড় পরিধান করো না। (মুসলিমঃ ২০৭৭)
উমার (রা.) বলেন,রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে লাল রঙের পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ,ইবনে মাজাহঃ ৩৫৯১)
তবে শুধু এক কালারের লাল না হয়ে যদি লালের মাঝে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকে তাহলে সেটা পরা জায়েজ আছে । তবে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকলেও তাকওয়ার খাতিরে লাল রঙ এড়িয়ে চলাই উত্তম । তাই পোশাকের ব্যাপারে আমাদের একটু সচেতন হতে হবে ।