নতুন চাকরি সৃষ্টিতে ২১০০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

দেশে বৃহত্তর পরিসরে নতুন চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য ২৫ কোটি মার্কিন ঋণ সহায়তা দিচ্ছে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সরকারের জব ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভঅগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম। প্রকল্প সম্পর্কে উস্থাপন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবকাঠামো, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে উন্নতি করেছি। তবে কর্মসংস্থানে কিছুটা পিছিয়ে আছি। সরকার অবকাঠামো সুবিধাসহ বেসকারি খাতকে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা দিচ্ছে। তারা ব্যাপক বিনিয়োগ করবে। ফলে বিভিন্ন খাতভিত্তিক বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠিত হলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজস্ব, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কার করা হবে। আমাদের ৬০ শতাংশ কর্মক্ষম জনশক্তি রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ জনসংখ্যার বোনাসকাল ভোগ করতে পারবে। দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে। আগে উঠানামা থাকলেও এখন ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা আমরা বাস্তবায়ন করবো।’

চিমিয়াও ফান বলেন, ‘বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে গত দুই দশকে প্রবৃদ্ধি অর্জন , দারিদ্র নিরসন, মানব সম্পদ উন্নন হয়েছে ব্যাপক। তবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কেননা প্রতিবছর ২ মিলিয়ন তরুণ কর্মের বাজারে প্রবেশ করছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তিনটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে-পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব, মানসম্মত কর্মসংস্থানের অভাব এবং কর্মসংস্থানে নারীদের পিছিয়ে থাকা।’

মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ ঋণটি প্রক্রিয়াকরণ করে চুক্তি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে এটিই প্রমাণিত হয় যে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে জানানো জানানো হয়, ‘তিন বছর মেয়াদী এ কর্মসূচীর আওতায় বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্য পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সব ধরনের অভিঘাত মোকাবেলায় সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকহারে কর্মে প্রবেশ নিশ্চিতকরণে নীতি ও কর্মসূচী উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।’

বিশ্বব্যাংকের দেয়া এ বাজেট সহায়তা ৫ বছরের রেয়াতকাল (গ্রেস পিরিয়ড)সহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের উপর শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদসহ মোট ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।