।। মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
বল হাতে গেল বছরটা অম্ল মধুর কাটিয়েছেন টাইগার কাটার স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান। যেখানে অম্লের চাইতে মধুর পাল্লাটিই ভারী। অথচ সেটা কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না। কেননা বছরের শুরুতে আইপিএল খেলতে গিয়ে পাওয়া চোট তার ছন্দময় বোলিংয়ের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। বাঁ-পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে চোট নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন ফিজ। সেই চোটই তাকে মে মাসে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ছিটকে দিয়েছিলে। একই চোট তাকে মাঠের বাইরে ঠেলে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজেও। তবে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে যে কয়টি ম্যাচ খেলেছেন মন্দ করেননি।
গত বছর মোট ১৮টি ওয়ানডে খেলে ২৯টি উইকেট থলিতে পুড়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। ১৩টি টি-টোয়েন্টি থেকে তার প্রাপ্ত উইকেট ২১টি। আর সাদা পোষাকে ৪ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
কালের পরিক্রমায় ২০১৮ সাল বিদায় নিয়েছে। শুরু হয়েছে নতুন বছর। দেশের ক্রিকেটেও নতুন বছরের শুরুটি হচ্ছে নতুন মোড়কে। আগের বছর যেখানে বহুজাতিক টুর্নামেন্ট (ত্রিদেশীয় সিরিজ) ও দ্বিপাক্ষিক আসর (বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা) দিয়ে শুরু হয়েছিল সেখানে এ বছরের শুরুটি হচ্ছে চার-ছক্কার ধুমধারাক্কার আসর বিপিএল দিয়ে। যেখানে কাটারের পসরা সাজিয়ে ষষ্ঠ আসরের সেরা শিকারি হতে চাইছেন রাজশাহী কিংসের পেসার মোস্তাফিজ।
সারাবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে সেকথাই জানালেন এই টাইগার পেস সেনসেশন। কথা বলেছেন বিশ্বকাপে নিজের দেশের লক্ষ্য নিয়েও। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো।
সারাবাংলা: বিপিএলে আপনার লক্ষ্য কী থাকবে?
মোস্তাফিজ: লক্ষ্য থাকবে ভালো বোলিং করা। ভালো বোলিং করেই সেরা বোলার হওয়ার চেষ্টা করবো। এমন ইচ্ছে কিন্তু সবারই থাকে। আমারও আছে। বাদবাকি আল্লাহর ইচ্ছে।
সারাবাংলা: গেল বছরটা কেমন কাটলো?
মোস্তাফিজ: সত্যি কথা বলতে আমার মনের মতো যায়নি। মোটামুটি। আমার ইনজুরি ছিল। এমনও অনেক ম্যাচ গিয়েছে অনুশীলন না করেই খেলেছি। সেই বিবেচনায় খুব খারাপ বলা যায় না।
সারাবাংলা: এ বছর দেশের বাইরে অসংখ্য খেলা। চ্যালেঞ্জটা কেমন দেখছেন?
মোস্তাফিজ: চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই। ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে গেলে সব দলেরই চ্যালেঞ্জ থাকে। আমাদেরও থাকবে। তবে চেষ্টা থাকবে চ্যালেঞ্জগুলোকে শক্তভাবে মোকাবেলা করার। যেমন ধরেন, ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে আমাদের সিরিজ খেলতে হবে। সেখানে কিন্তু আমাদের কাজটা সহজ হবে না। বাউন্সি উইকেট, বাতাসও থাকবে। বুঝতেই পারছেন ব্যাটসম্যান এবং বোলারদের কতটা সতর্কতা অবলম্বন করে খেলতে হবে।
সারাবাংলা: এ বছরই বিশ্বকাপ। সেখানে নিজেকে কীভাবে দেখতে চাইছেন?
মোস্তাফিজ: বিশ্বকাপে খেলতে হবে ইংল্যান্ডে। কেমন বোলিং করবো সেটা নিয়ে যতটা না ভাবছি তার চাইতে বেশি ভাবছি ফিটনেস নিয়ে। আমাকে অবশ্যই ফিট থাকতে হবে। আর বোলিংয়ের কথা যদি বলেন, চেষ্টা করবো দেশের জন্য শতভাগ দিয়ে সেরা বল করতে। তাতে আমার যেমন ভালো হবে তেমনি দেশেরও ভালো হবে।
সারাবাংলা: বিশ্বকাপে ৯টি ম্যাচ খেলতে হবে। আগের আসরগুলোয় গ্রুপ পর্বে খেলেছেন। এতগুলো ম্যাচ খেলে সেমি ফাইনাল, ফাইনাল কী কঠিন মনে হচ্ছে?
মোস্তাফিজ: অবশ্যই তাই। আমার মনে হয় গ্রুপ পর্ব থাকলেই বেশি ভালো হতো। তবে আমি বললে তো আর হবে না, নিয়ম সবার জন্যই সমান। অন্যান্য দলগুলো যদি পারে আমরা কেন নয়? আমরা তো দল হিসেবে খারাপ না। ওয়ানডেতে আমরা এখন শক্তিশালী সেটা কে না জানে?
সূত্র সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি