মান্ড্য পুলিশের তদন্তে সম্প্রতি উঠে এসেছে একটি চক্রের নাম, যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই চিকিত্সক। তবে জেরার সময়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এই চিকিত্সকের অন্যান্য সহযোগীদের ধরতে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন রূপান্তরকামীও আছেন, যিনি কমবয়সী ছেলেদের ভুলিয়ে অস্ত্রোপচারের জন্যে নিয়ে আসতেন।
মান্ড্যর পুলিশ সুপার শিবপ্রকাশ দেবরাজু জানিয়েছেন, প্রাথমিক জেরায় ওই নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত তিনি ৬৮২টি অস্ত্রোপচার করেছেন। প্রতিটি অস্ত্রোপচারের জন্যে তিনি ১ লাখ ২৫ হাজার রুপি নিতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে এক বয়স্ক নারী অভিযোগ জানান, তার ১৬ বছরের নাতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অক্টোবর মাসে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই কিশোরকে মেয়েদের পোশাকে রাস্তায় ঘুরতে দেখেন। তত্ক্ষণাৎ তারা পুলিশ ও পরিবারকে জানান।
তদন্তে জানা গেছে, একদল রূপান্তরকামী তাকে আর্থিক সাহায্য করার লোভ দেখিয়ে জোর করে লিঙ্গ পরিবর্তন করায়। তৈরি করা হয় জাল জন্মসনদ। বেঙ্গালুরুর ওই চিকিত্সকই তার অস্ত্রোপচার করেন। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ধরা পড়েছে ৮ জন।