সুস্থ থাকতে চাইলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন!

বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই না। বিয়ে দুটি মানুষকে একত্রে বেধে ফেলে। বিয়ের ফলে দুটি মানুষের মনের আদান প্রদান হয়। যার ফলে দুটি মানুষ তাদের চিন্তা চেতনাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করতে পারে। যার ফলে একাকিত্ব মনোভব, হতাশা, ক্লান্তি সবই দূর করা সম্ভব। তাই সুস্থ থাকতে বিয়ে করা জরুরি।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এমন তথ্য। বিয়ে এবং সুস্থ্ এই দুই নিয়ে কি বলা হয়েছে তা জেনে নিন-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যার ফলে দম্পতির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ: স্বাভাবিক যৌনজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে। বিশেষ করে ‘অর্গাজমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে। কারণ প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

রক্তচাপ কমায়: নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে রক্তচাপ কমে বলে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। গবেষণা বলছে, শারীরিক সম্পর্ক রক্তচাপ কমায়।

ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষকরা জানান, শারীরিক মিলনে দু’ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক. হৃদকম্পনে গতি আনে, দুই. একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশীকে সক্রিয় করে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই: শারীরিক সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি। হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরনের’ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকরা জানান, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা কম।

ব্যথা কমায়: ব্যথা কমাতে ‘অর্গাজম’ বেশি কার্যকর। অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক জানান, অর্গাজম ব্যথা বন্ধ করতে পারে। কারণ এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ঘুম: শারীরিক সম্পর্কের পর দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। কারণ অর্গাজমের সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহকে শিথিল করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে।

মানসিক চাপ কমে: সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে। গবেষকরা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অত্যন্ত জরুরি।