জানুন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো

বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। তবে জ্বর হলেই যে ডেঙ্গু হবে তা কিন্তু নয়। তবে জ্বরের প্রকোপ আপনার কাছে বেশি মনে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে। এডিস নামক এক ধরনের মশার কামড়ে এ রোগ হয়। মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে ভয়ের কিছু নেই। এ জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়।

জ্বর এলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর স্পঞ্জ করুন, বিশ্রাম নিন এবং মাথায় পানি দিন।লেবু এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি।

জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। আর কোনো ওষুধের দরকার নেই। তবে জ্বর প্রথম দিন থেকেই জটিল আকার মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নয়তো বাড়িতে তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। তিন দিনে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মনে রাখবেন, নিজে দোকান থেকে কিনে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো :

প্রচন্ড জ্বর : ডেঙ্গু হলে আপনার সর্বোচ্চ ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে। আর জ্বর থাকবে ৪-৭দিন পর্যন্ত থাকবে। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে খুব তাড়াতাড়িই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

প্রচণ্ড মাথা ব্যথা : ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়। চোখের পেছনের দিকে ব্যথা হবে। মাথাব্যথা ডেঙ্গু রোগের অন্যতম পূর্বলক্ষণ।

শরীর ব্যথা: প্রাথমিকভাবে শরীরের জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়, এর পাশাপাশি ব্যথা হয় পেশীতেও।হাড় ভাঙলে যেরকম তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, ডেঙ্গু হলেও ঠিক সেরকম ব্যথা অনুভূত হবে।

ত্বকের র‍্যাস: জ্বর হওয়ার এক থেকে দুইদিনের সময় সারা শরীরে লালচে র‌্যাস দেখা যায়। যাকে বলা হয় স্কিন র‌্যাশ, অনেকটা অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো।

বমির ভাব: ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হল বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব অনুভব হওয়া। অনেক সময় বমি তেমন না হলেও প্রচন্ড বমি ভাব হয়ে থাকে।

রক্তকণিকা: ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা মনে করলে তাড়াতাড়ি করে প্লেটলেট টেস্ট করা যায় । এসময় প্লেটলেট কিংবা রক্তকণিকার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। প্লেটলেট কাউন্ট যদি ২০ হাজার এর নিচে হয় তাহলে জটিলতা দেখা দিতে পারে।