আলুর জুসের বহুগুণ

পুষ্টি উপাদান

এতে ভিটামিন ‘সি’, পটাসিয়াম, কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফরফরাস, কপার ও সালফার আছে। আরো আছে কয়েক ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অর্গানিক উপাদান। শুনলে অবাক হবেন, আলুর বেশির ভাগ পুষ্টি থাকে তার খোসায়। কাজেই আলুর জুস বানানোর সময় খোসা ছাড়াবেন না। এতে মিলবে অনেক উপকারিতা।

যেভাবে বানাবেন

বেশ সহজ এক কাজ। তবে ভালোমতো ধুয়ে নেবেন। খোসা ছাড়াবেন না। দুটি বড় আকারের আলু নিয়ে টুকরা করে কেটে ফেলুন। এতে এক কাপ পানি ব্যবহার করবেন। চাইলে শাকপাতা দিতে পারেন। এবার এগুলো পানিতে ব্লেন্ড করুন। ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। ফলের জুস যেভাবে বানান সেই একই প্রক্রিয়া।

বয়স বাড়তে দেয় না

গবেষণায় বলা হয়, এই জুস ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সরবরাহ করে। ত্বকের উপরিভাগে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগানও দেয়। ফলে সহজে বলিরেখা পড়ে না। বয়সের ছাপও আসে না। আবার বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও ইনফ্লামেশন প্রতিরোধ করে এই পানীয়।

শক্তিবর্ধক

দেহে দ্রুত শক্তি দেয়। এর প্রাকৃতিক চিনি খুব সহজেই দেহে শক্তি উৎপাদন করে। এ ছাড়া এতে আছে উচ্চমাত্রার থায়ামিন। এটি দেহকে দ্রুততার সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সহায়তা করে। ফলে ব্যবহারযোগ্য শক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেলে।

হজমে সহায়ক

আলুতে থাকা স্টার্চ হজমের নানা সমস্যা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ, বমিভাব, পেটে ব্যথা এবং বদহজমের সমস্যা থাকলে আলুর জুস বিস্ময়কর কাজ করে।

আলসার নিরাময়

অ্যান্টাসিড উপাদান থাকার কারণে এক অনন্য উপাদান আলু। সামান্য পরিমাণে ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্যও আছে।

এগুলো পেটে এসিডের ভারসাম্য রক্ষা করে।

অর্গানিক ফ্যাক্টস অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার