এইমাত্র পাওয়া গেল রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০০ কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ জমজমাট লড়াইয়ে এগিয়ে যে দল দেখে নিন

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০০ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি পেয়েছেন ১,২০,৭১৮ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৫৬,৪৪৯ ভোট।

এর আগে সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল চারটায় শেষ হয়। এখন চলছে ভোট গণনা।

রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও মহিলা ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩জন। ভোট কেন্দ্র ১৩৮টি ও ভোট কক্ষ ১ হাজার ২৬টি। এ সিটিতে মেয়র প্রার্থী মোট ৫ জন।

বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন ও মহিলা ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। ভোট কেন্দ্র ১২৩টি ও ভোট কক্ষ ৭৫০টি। এ সিটিতে মেয়র প্রার্থী মোট ৬ জন।

সিলেট সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন ও মহিলা ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ভোট কেন্দ্র ১৩৪টি ও ভোট কক্ষ ৯২৬টি। এ সিটিতে মেয়র প্রার্থী মোট ৭ জন।

এদিকে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে বরিশাল সিটিতে ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। দুপুর পৌনে বারোটায় নগরীর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সারোয়ার।

সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে সকাল এগারোটার দিকে জাল ভোটের অভিযোগে ভোট বর্জন করে ইসলামী আন্দোলন।

মজিবর রহমান জানান, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থীরাও এই বর্জনের সঙ্গে একমত।

রাজশাহীতেও বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটে অনিয়মের অভিযোগে অনশন করেছেন। ব্যালট পেপার ফুরিয়ে যাওয়ায় তিনি রাজশাহী সিটির ৩০ নং ‍ওয়ার্ডের বিনোদপুরের ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্রে অনশন শুরু করেন।

দুপুর ১২টার পর এ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ফুরিয়ে গেছে শুনে এসে সত্যতা পাওয়ায় অনশন শুরু করেন মোসাদ্দেক।

তবে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল্লাহিল সাফি।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মহানগরের খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি কক্ষের ব্যালট পেপার ছিনতাই ও একটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ মিলেছে। অভিযোগের পর কক্ষগুলো তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই প্রিজাইডিং অফিসার।

সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়টির নিচতলার নারী কেন্দ্রের ১, ২, ৩ ভোটকক্ষ থেকে ব্যালট ছিনতাই এবং দ্বিতীয় তলার পুরুষ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ভোটকক্ষে জাল ভোট দেওয়ার এ অভিযোগ পাওয়া যায়।

নারী কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সয়ফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে নারী কেন্দ্রের বুথ ৩ টিতে কিছু লোক ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়, তখন প্রত্যেকটি ব্যালট-বইয়ের ৫০টির মতো ভোটগ্রহণ হয়েছে কেবল, বাকি বই তারা নিয়ে যায়।

গো নিউজ২৪