পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পার্টি মুসলিম লীগ-নওয়াজের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ভারত ও মোদি সরকারের ৮টি সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা:
১. সেনাবাহিনী সঙ্গে নিয়েই সরকার চালালে পাকিস্তান সরকার আগের চেয়ে বেশি ভারত বিদ্বেষী হতে পারে।
২. ইমরান খান পাকিস্তানকে কাশ্মীর উপহার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি অবস্থানে চলে যেতে পারে বা বড় কোনো ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. ইমরান খান তালিবানদের মধ্যে ভারত বিদ্বেষীদের মদদ দিতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
৪. ভারতকে অস্থিতিশীল করতে বা জম্মু-কাশ্মীর এলাকা থেকে ভারতকে হটাতে স্থানীয়দের মদদ দিয়ে অস্ত্র সরবাহ করতে পারে ইমরান খান।
৫. পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা বন্ধের পর থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশটির যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে। ফলে চীন-পাকিস্তান ঐক্য হলে ভারতের জন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬. পাকিস্তানের বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সেনাবাহিনী ও ইমরান খানের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সরকারের ভেতরেই পাকিস্তান বিদ্বেষ বাড়বে এবং ইসলামি সংগঠনগুলো এক্ষেত্রে সরকারকে প্রভাবিত করবে।
৭. নির্বাচনের আগে ইমরান খান নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তার মধ্যে একটি ছিল নওয়াজ শরীফ ভারতঘেঁষা নীতি অনুসরণ করেছেন। ইমরান ওই নীতি থেকে বেরিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
৮. পাকিস্তানে ইতিপূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সঙ্গে ভারতের অনেকের বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু ইমরান খানের সঙ্গে ভারতের রাজনীতিবিদদের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে ইমরানের সঙ্গে ভারতের কোনো বিষয় আলোচনা বা সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা কম।