সুখী হতে হলে এটা অবহেলা করবেন না

আপনি কি জীবনে সুখি হতে চান? তাহলে সুখী হতে হলে এটা অবহেলা করবেন না।
পড়ুন ডেল কার্নেগীর সুখি হওয়ার ৭ টি নিয়মের মধ্যে ৬ নং নিয়মটি। কিভাবে জীবনে সুখি হওয়ার তাঁর ৭ টি নিয়ম বলে দিচ্ছেন ডেল কার্নেগী।

সুখী হতেওয়াল্টার ড্যামরস বিয়ে করেন আমেরিকার শ্রেষ্ঠতম বাগ্মী আর প্রেসিডেন্ট পদের একজন প্রার্থী জেমস জি. ব্লেইনের কন্যাকে।

বহু বছর আগে বিয়ের পর থেকে স্কটল্যান্ডে অ্যান্ডু কার্নেগির বাড়িতে ড্যামরসরা দারুণ সুখে জীবন কাটান।

তাঁদের এই সুখের রহস্যটা কি?

মিসেস ড্যামরস বলেন, ‘কোন জীবন সঙ্গি বেঁছে নেওয়ার সময়, ‘বিয়ের পরেই ভদত্তাকে স্থান দিতে চাই। স্ত্রীরা যদি স্বামীর প্রতি ভদ্রতা দেখায় তাহলে আর কিছু লাগে না।’

ভালোবাসাকে শেষ করতে কড়া কথা বা ব্যবহার হলো ক্যানসারের মতো। লোকেরা এটা জানে বলেই, আশ্চর্য ব্যাপার, আমরা আপন আত্মীয়-স্বজনদের চেয়ে অচেনাদের কাছেই ভদ্রতা দেখাই। নিজের লোকদেরই আমরা অসম্মান করি বেশি।

হেনরি ক্লে রিমনারের মতে, ‘ভদ্রতা’, ‘হলো হৃদয়ের এমন কোন গুণ যেটা ভাঙ্গা সদরের বাইরে মনলোভা ফুলের ওপরেই দৃষ্টি ফেলার সাহায্য করে।,

ভদ্রতাবোধ বিবাহিত জীবনে একান্তই অপরিহার্য বস্তু, যেমন কোন মোটরের পক্ষে তেল অতি প্রয়োজনীয়।

প্রাতরাশে টেবিলের সেই বিখ্যাত এক নায়ক অলিভার জয়ন্ডেল হোমস বাড়িতে এই রকম এক নায়কই ছিলেন। অথচ তিনিই আবার কোন কারণে বিষাদগ্রস্থ বা হতাশায় আচ্ছন্ন হলে মনের ভাব মনেই চেপে রাখতেন কখনই অন্যদের বিব্রত করতেন না।

কিন্তু এটা হলো অলিভার ওয়েন্তেল হোমসের ব্যাপার। সাধারণ গড় পরতা মানুষ কেমন ব্যবহার এক্ষেত্রে করে থাকেন? অফিসে কাজে গোলমাল হলে ওপরওয়ালার কাছে ধমকানি। শুরু হয় মাথার যন্ত্রণা, পাঁচটা পনেরোর গাড়ি হয়তো ধরা যায় না। বাড়ি ফেরার তর সয় না তাই-তারপর সব ঝাল পড়ে এবার বাড়ির সকলের উপর।

হল্যান্ডে নিয়ম আছে বাড়িতে ঢোকার আগে বাইরের সিঁড়িতে জুতো খুলে রাখা।

ডাচদের কাছ থেকে আমাদের তাই ঢের শেখার আছে—আমাদের দৈনন্দিক জীবনের ঝামেলা বাইরে রেখে ঢোকা।

উইলিয়াম জেমস একবার কোন প্রবন্ধে লেখেনঃ ‘মানুষের মধ্যে অদ্ভুত একটা অজ্ঞতা আছে। এ দোষে আমরা প্রায় সবাই ভুগি।’

প্রায়ই দেখা যায়, অনেকেই বাইরের মানুষের সঙ্গে চেঁচিয়ে কথা বলে না। অথচ স্ত্রীর প্রতি ঠিক বিপরীতটাই ঘটে। অথচ বিবাহিত জীবন তাঁদের জীবনে ব্যবসার চেয়ে ঢের বেশী প্রয়োজনীয়।

গড়পরতা মানুষ, যাদের বিবাহিত জীবনে সুখ আছে তাঁরা একাকী বাস করা জ্ঞানীগুণীর চেয়ে অনেক বেশী সুখী। বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসিক টুর্গেনিভ বলেছিলেনঃ ‘আমি আমার সব কৃতিত্ব আর সব বই দিয়ে দিতে রাজি আছি শুধু যদি কোন মেয়ে আমাকে সস্নেহে প্রশ্ন করার থাকে ডিনারে আসতে দেরী হলো কেন।’

তাহলে বিয়ের মধ্যে সুখের সুযোগ কতটা পাচ্ছে? ডরোথি ডিক্সের মতে বিয়েতে পুরুষের সাফল্যের সম্ভাবনা ব্যবসার চেয়ে শতকরা সত্তর ভাগ বেশি। স্ত্রী-পুরুষ বিয়ে করলে শতকরা সত্তর ভাগ সফল হওয়ার সম্ভাবনা।

বিবাহিত জীবনে সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো পরস্পরক ভালভাবে জানার চেষ্টা করা আর পরস্পরকে সহায়তা করে চলা এবং ছোট ছোট মনোযোগ দেওয়ার কথা না ভুলে যাওয়া। তাছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত ভালো কিছু বইও পড়ে ফেলা।

অতএব বিবাহিত জীবনে সুখী হতে গেলে ৬ নং নিয়ম হলোঃ

ভদ্রতা দেখান।