অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনা রয়েছে ৯৬৩ কেজি, এর মধ্যে ৩ কেজি দূষিত। এটা কোনও বড় সমস্যা নয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সোনা নিয়ে এনবিআরের কোনও কথা বলারই প্রয়োজন ছিল না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়।
এ বিষয়ে আপনি কোনও কমিটি গঠন করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সোনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকই সিদ্ধান্ত নেবে। এজন্য কোনও কমিটির দরকার নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে। সেগুলো অনর্থক (ইউজলেস)।
সম্প্রতি একটি দৈনিকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটির জায়গায় এখন আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। আর ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভল্টে স্বর্ণ যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবেই আছে। কোনো প্রকার হেরফের হয়নি। একটি ক্লাসিক্যাল মিসটেকের (করণিক ভুল) কারণে স্বর্ণের মানের পার্থক্য দেখা দিয়েছে।