ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে লজ্জার ইতিহাস গড়লেন টাইগাররা। অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানেই অলআউট সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। ২০০০ সালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পাওয়ার পর এই প্রথম ৫০ রানের নিচে অলআউট হতে হল বাংলাদেশ দলকে। এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পড়ে যাওয়ায় ১৮.৪ ওভারে ৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিববাহিনী।
বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুর রহমান বাবু তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন,
অসুবিধা নাই ক্রিকেট খেলাটাই এমন। নিজেগো খারাপ দিনে প্রতিকূল আর অনভ্যস্ত উইকেটে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনাই ঘটে, যা হয়তো কল্পনায়ও আসে না। গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ, কামিন্স আর হোল্ডারের বিপক্ষে আমরা মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হমু এইটা হয়ত স্বপ্নেও ভাবি নাই। কিন্তু হার্শ রিয়্যালিটি, সেটাই এখন বাস্তব। ক্রিকেটে এমন কিছু বাজে দিন আসে। যেদিন মনে হয় আমার প্রিয় দলটা কিছুই পারে না।
কিন্তু এটাও সত্য, আসলে আমাদের দল তো আর এত খারাপ না। তাই যদি হইতো তাইলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ট্রেন্ট বোল্ট আর টীম সাউদীর বিপক্ষে আমরা ৫৯৫ রান করতে পারতাম না।
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে আমরা কজন বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রেসবক্সে বসে নিজ চোখে দেখেছি, সাকিব অল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিং। সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি (২১৭) আর মুশফিকের (১৫৯)। কাজেই ক্রিকেটে খারাপ দিন আসেই।
আবার সেই কালমেঘ কেটে লাল সূর্য্যর দেখাও মেলে। আমরা সবাই দেখেছি আমাদের তামিম, লিটন, মুমিনুল, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর সোহান কেউই ভাল ব্যাটিং করেননি। বাট তারা যে ভাল ব্যাট করতে পারেন না, তাওতো নয়। হ্যা এটা সত্যি দেখতে খুব খারাপ লাগছে।
ঘাসের উইকেটে দ্রুত গতি আর দারুন সুইংয়ের মুখে আমাগো দৈন্যদশা আর দুর্বলতা ন্যাকেডলি এক্সপোজ্ড !!!!!!। নতুন কোচের জন্য এটা হতে পারে গুড ল্যাসন। এ ধরনের কন্ডিশনে আমাদের ব্যাটসম্যানদের সত্যিকার দুর্বলতা কতটা? তা নিজ চোখেই দেখে নিলেন।
তারপরও বলছি, নিউজিল্যান্ড, দ. আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, আর ভারতও আমাগো চেয়ে কম রানে অলআউট হইছে। এইতো পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি কেপটাউনে দ. আফ্রিকার কাছে মাত্র ৪৫ রানে অলআউট হইছিলো নিউজিল্যান্ড।
ফিলেন্ডার ৭ রানে পতন ঘটাইছিলেন ৫ উইকেটের। মরনে মরকেল পাইছিলেন ১৪ রানে ৩ টা আর ডেইল স্টেইন ২ টা ( ১৮ রানে )। পাঁচ বছর পরে আমরা না হয় দুই রান কমই করছি।’